শ্লীলতাহানির অভিযোগে বরাহনগর থানায় ডেকে পাঠানো হল প্রাক্তন CPIM বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে। সোমবার, সেখানে হাজিরা দেন সিপিআইএম-এর সাসপেন্ডেড নেতা তন্ময়। তবে, তাঁকে সাসপেন্ড করাকে নাটক বলে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তন্ময়কে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
গোটা ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যাওয়া তরুণী শেষ পর্যন্ত নিজের সংস্থার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ করে গোটা ঘটনা জানান। সেই সঙ্গে স্পষ্টভাবে তন্ময়কে পোটেনশিয়াল রেপিস্ট দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠায় মুখ বাঁচাতে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। রবিবার সন্ধেয় ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তন্ময়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সিপিআইএম-এর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। যত দিন তদন্ত হবে, তত দিন সাসপেন্ড থাকবেন তন্ময়। তদন্ত কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান সেলিম।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, তন্ময়কে সাসপেন্ড করাটা নাটক। এই প্রসঙ্গে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে বৌবাজার বিস্ফোরণের উল্লেখ করে তৃণমূল নেতা বলেন, সেই সময় সিপিআইএম ৬জনকে সাসপেন্ড করেছিল। তদন্ত করেছিল অভ্যন্তরীণ কমিটি। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোনও কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এগুলি একেবারেই আই ওয়াশ। তন্ময় ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে তদন্ত করার দাবি জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।
রবিবারের পর সোমবার আবার তন্ময়কে তলব করে বরাহনগর থানার পুলিশ। এদিন এক দলীয় সমর্থকের বাইকে চড়ে থানায় যান তন্ময়। তবে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি তিনি।