মানবিকতা সবার উপরে। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার ক্ষেত্রে এবং আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাছাই করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে মানবিক ভাবমূর্তিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, এই দুই বিষয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে আবাস যোজনা, ১ ঘণ্টার বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কোনও ভাবে বঞ্চনা করা যাবে না। শস্য বীমা পাওয়া থেকে কৃষকরা যেন বঞ্চিত না হন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বীমা কোম্পানিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন তিনি।ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যের ৯ লক্ষ্যর বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় তাঁদের সকলকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে বীমা সংস্থা সমীক্ষার কাজ চলছে তাদের কাজের গতি নিয়ে এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের আরও দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নে কৃষি এবং পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ডানায় রাজ্যের ৯ লক্ষ্যর বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সকলকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোর আগে ডিভিসির ছাড়া চলে বানভাসি এলাকা এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় জনিত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ এখনও চলছে। এ পর্যন্ত ৬১ লক্ষ ৫৫ হাজার কৃষক ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক দুর্যোগ নিয়ে করা সমীক্ষা অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৯ লক্ষ ৩৫৪৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে বীমা সংস্থা সমীক্ষার কাজ চলছে তাদের কাজের গতি নিয়ে এদিন উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের আরও দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে জেলায় জেলায় গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।