বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সীমান্ত সুরক্ষার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত নিরাপত্তাকে নিশ্চিদ্র করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি যৌথ কর্মসূচি হাতে নিতে চলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং ভূমি সচিব বিবেক কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই এই যৌথ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্য সরকার কোনো রকম আপোষ করবে না। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সমস্ত উদ্যোগে পাশে থাকা হবে বলে রাজ্যের তরফে ওই বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি সেদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতের ওপর হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে বেআইনি অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও বেড়ে গিয়েছে। সেজন্য অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজে গতি আনার ওপরেও বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যেের নটি জেলা কোচবিহার,জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ,নদিয়া,উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সঙ্গে বাংলাদেশে সীমান্ত রয়েছে। মোট ২২০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে রাজ্যের তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৬০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ২৬৬ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়ার কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। ১১২ কিলোমিটার এলাকার জমি কেনার জন্য টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। ৪৫ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ করে ইতিমধ্যেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন- মানা হবে না কেন্দ্রের অমানবিক কোনও শর্ত! আবাসে নিখুঁত তালিকা তৈরিতে সক্রিয় রাজ্য
