R G Kar: CBI-এর স্ট্যাটাস রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন নেই, তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

আর জি কর (R G Kar Medical College And Hospital) মামলায় তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে সিবিআই। চার সপ্তাহ পরে পরবর্তী রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানিতে এই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন, শীর্ষ আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় CBI। রিপোর্ট নিয়ে কোনও আপত্তি বা প্রশ্ন তুলল না সুপ্রিম কোর্ট। তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পরের স্ট্যাটাস রিপোর্ট ৪ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধঘণ্টার মধ্যেই শুনানি শেষ হয়। শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর। ওই দিন থেকেই শিয়ালদহে কোর্টে মূল মামলার ট্রায়াল শুরু হবে।

এদিন ২টো ৪০ নাগাদ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়াল, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হয়। সব পক্ষের রিপোর্ট জমা পড়ার পর তা খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। রিপোর্টে নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে চাননি প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, বিষয়টি সংবেদনশীল। প্রকাশ্য়ে আলোচনার মতো নয়। তবে, রিপোর্ট নিয়ে সিবিআই-কে প্রশ্ন করেনি শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। আপত্তিও তুলল না। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত যে সঠিক পথে চলছে, সেটাই হয়ত মনে করছে আদালত।

আরও খবর: জিজ্ঞাসাবাদে বাধা নেই, ৪৮ ঘণ্টা আগে পুলিশকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের  

এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে স্ট্যাটাস রিপোর্টের পাশাপাশি, জাতীয় টাস্ক ফোর্সের কাজ নিয়েও একটি রিপোর্ট দেয় সিবিআই। সেটিও খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে গরহাজির ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল দ্রুত যাতে তদন্ত শেষ হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন জানান। তাঁর কথায়, চার্জ গঠন হয়েছে। রাজ্য চায়, আসল দোষী যাতে শাস্তি পায়।

তদন্তের দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “ঘটনার পর ৯০ দিন হয়ে গিয়েছে। তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই।“ তবে, সেই কথায় আমল দেননি প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফের তদন্ত নিয়ে নির্দেশ দেওয়ার, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে ট্রায়াল বিচারকের।“ অর্থাৎ নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু বলতে চায় না শীর্ষ আদালত।

শুনানিতে এক আইনজীবী বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।“ এই অভিযোগ শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। রীতিমতো ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আপনি কার হয়ে সওয়াল করছেন? শুনে মনে হচ্ছে, কোর্টে এখন ক্যান্টিনের মতো গল্প চলছে।“

এর পর বিচারপতিরা জানান, আর জি করের মূল মামলায় শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে, বিচারও শুরু হবে ১১ নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টও ওইদিনই ফের এই মামলা শুনবে।