গৃহবধূর উপর হিংসাতেও চুপ! ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের ‘নতুন সংজ্ঞা’ বোম্বে হাইকোর্টে

নিম্ন আদালতের (lower court) কুড়ি বছরের পুরোনো রায়কে নাকচ করে দিয়ে পরিবারের সকলকে বেকসুর খালাস করা হয়

গার্হস্থ হিংসায় নতুন ‘তত্ত্ব’ আনল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। গৃহবধূকে কটূক্তি তো বটেই, মেঝেতে শুতে বাধ্য করলেও তাকে গুরুতর হিংসা বলে গণ্য করা হবে না, রায়ে জানালেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি অভয় ওয়াঘওয়াসে (Abhay S Waghwase)। মামলার শুনানিতে গৃহবধূ খুনে অভিযুক্ত মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবারকে বেকসুর খালাস করল।

মহারাষ্ট্রের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় মৃতার বাবা-মা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার (abetting to suicide) অভিযোগ আনেন। নিম্ন আদালত মৃতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেওরের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

সেই মামলায় বিচারপতি ওয়াঘওয়াসের সিঙ্গল বেঞ্চের (single bench) পর্যবেক্ষণ, গৃহবধূকে কটূক্তি বা মাঝেমধ্যে মেঝেতে শুতে দেওয়া গুরুতর হিংসার মধ্যে পড়ে না। মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল, রাত দেড়টাতেও কল থেকে জল বইতে হত তাঁকে। টিভি দেখা তো দূরের কথা প্রতিবেশীর সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হত না। একা একা মন্দিরে পুজোর জন্যও যেত পারত না ওই গৃহবধূ। এই সব অত্যাচার মানতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে, এমনটা অভিযোগে জানায় পরিবার।

যদিও বম্বে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অভিমত এগুলি গুরুতর হিংসার অপরাধের মধ্যে পড়ে না। বা প্রতিবেশীর সঙ্গে মিশতে না দেওয়ার মানসিক নিগ্রহের মধ্যে পড়ে না বলে রায় সিঙ্গল বেঞ্চের। ফলে নিম্ন আদালতের (lower court) কুড়ি বছরের পুরোনো রায়কে নাকচ করে দিয়ে পরিবারের সকলকে বেকসুর খালাস করা হয়। কুড়ি বছর আগে জলগাঁও (Jalgaon) জেলার নিম্ন আদালত যে অপরাধকে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স (domestic violence) বলে রায় দিয়েছিল, আজকের যুগে দাঁড়িয়ে কার্যত তাকে অস্বীকার করল বম্বে হাইকোর্ট।