রাজ্যে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাবের টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় হাত থাকতে পারে কুখ্যাত জামতারা গ্যাংয়ের (Jamtara Gang), আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কীভাবে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতানোর ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা, তার তদন্তে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় সংস্থা ন্যাশানাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার (NIC)-কেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।

প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার রাজ্যের বহু পড়ুয়া তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapna) প্রকল্পের ট্যাবের টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান থেকে উঠতেই রাজ্য পুলিশকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দুষ্কৃতীদের এই কুকর্মের দায় রাজ্যের এক শ্রেণির বিরোধী রাজনীতিক রাজ্যের প্রশাসনের উপর চাপাতে চায়। পাল্টা শাসকদলের পক্ষ থেকে সাংসদদের বেতনের টাকা ভুল অ্যাকাউন্টে ঢোকার উদাহরণ টানেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সংসদের (Parliament) স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের টাকাও অনেক সময় নির্দিষ্ট সাংসদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য সাংসদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে থাকে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর পরে নির্দিষ্ট সাংসদের অতিরিক্ত টাকা কেটে নিয়ে উপযুক্ত সাংসদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন গোটা দেশে যেভাবে জামতারা গ্যাং (Jamtara Gang) সক্রিয় সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট নিয়ে নয়ছয় করার জন্য়, তা নিয়ে আজও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্রের সরকার। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের কারো অ্যাকাউন্টে। সেই প্রসঙ্গেই বাইরের রাজ্য যোগে জামতারা গ্যাংয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি দাবি করেন, এর পিছনে জামতারা গ্যাং-ও থাকতে পারে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই জন্যই পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার পাশাপাশি এনআইসি (NIC)-কেও এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই এনআইসি তদন্তে নেমে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষায় কিছু সুপারিশ করেছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
