রাশিয়া থেকে রাসায়নিক এনে খুনের চক্রান্তের অর্জুনের অভিযোগকে কটাক্ষ কুণালের

মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।বুধবার তার দাবি, তাকে খুনের চক্রান্ত চলছে। আর্জুনের দাবি, রাশিয়া থেকে রাসায়নিক এনে তাকে খুনের চক্রান্ত চলছে। তার এই অভিযোগের পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, কী কী দিয়ে লোককে মারা যায়, সেটা কোথায় পাওয়া যায়? পৃথিবীর কোথায় কোথায় পাওয়া যায়? রাশিয়ায় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই অর্জুন সিং এর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। তাই উনি বলেছেন রাশিয়ায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে আনতে হয়। সেগুলো দিয়ে লোককে মারা যায়। এগুলো যার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে সেখান থেকে তিনি বলেছেন। ‌তদন্ত চলছে, তদন্তে ধৈর্য হারিয়ে হয়তো তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন।

ভাটপাড়া পুরসভায় টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে এদিন ভবানীভবনে অর্জুনকে ডেকে পাঠায় রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিাইডি। হাইকোর্টের নির্দেশে চার ঘণ্টা অর্জুনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি ছিল সিআইডির হাতে। আর সেই উপলক্ষে ভবানীভবনে পৌঁছেই এমন মারাত্মক অভিযোগ তুললেন অর্জুন। ভবানীভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, একটা চক্রান্ত চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রাখে, তাই সুযোগ পায় না। এই জন্য রাশিয়া থেকে একটা রাসায়নিক আনিয়ে বড় ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চলছে। তাই আগাম সতর্কতা নিয়ে চলছি। ছ’মাসের মধ্যে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে যদি মারা যাই, চক্রান্তকারীরা দায়ী থাকবে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমি ডাক্তারি পরীক্ষা করাব। এমন কিছু ছিল কি না। যেখানে বসেছিলাম, ছবি তুলে দিতে বললাম। ওরা বললেন দিতে পারবে না। আমি আদালতকে বলব ভিডিও দিতে। তাকে এবং শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী রাসায়নিক ছোঁড়া হতে পারেও বলেও অভিযোগ করেছেন অর্জুন। এদিন পুরসভা দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে ধরেন অর্জুন। তার দাবি, যা যা জানতে চেয়েছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বার বার জিজ্ঞেস করা হয়েছে। এখানে ওখানে সই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অর্জুনের দাবি, পুরসভার চেয়ারম্যানের কাজ একেবারে সীমিত। টেন্ডারের জন্য কমিটি রয়েছে, তারাই সব দেখে। সিআইসি-র মিটিংয়ের পর বোর্ড মিটিংয়ে টেন্ডার পাস হয়। তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, তিনি রাজনীতির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন অর্জুন। ৪০০ কোটি বলে না হয় কথা ছিল, ৪ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মান-সম্মানও রইল না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্নীতি নিয়ে অর্জুনের দাবি, তিনি এসবের কিছুই জানেন না। যে কোনও সংস্থাই টেন্ডার পেতে পারে। তার কোনও কমিশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।