সম্মতি থাকলেও নাবালিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গম ধর্ষণ: রায় বম্বে হাই কোর্টের

নাবালিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গম সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পকসো (POCSO) আইনের অন্তর্গত। সেক্ষেত্রে নাবালিকার অনুমতি থাকা বা না থাকা আলাদা করে বিচার্য নয়

নাবালিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গম ধর্ষক, এমনই রায় দিল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। সেক্ষেত্রে নাবালিকার সম্মতি থাকা বা না থাকা আলাদা করে গ্রহণযোগ্য নয় বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের। যখনই নাবালিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গমের প্রশ্ন আসবে তখনই তা পকসো (POCSO) আইনের আওতায় আসবে বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি গোবিন্দ সনপ। অভিযোগের তিরে থাকা যুবককে ধর্ষণে অভিযুক্ত ঘোষণা করে।

মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার (Wardha) এক কিশোরীকে বলপূর্বক যৌন সঙ্গমে লিপ্ত করে এক যুবক। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণে অভিযোগও ওঠে। এরপর নাবালিকা গর্ভবতী হলে বিয়ের জন্য যুবকের উপর চাপ দেওয়া হয়। চাপে পড়ে যুবক ওই নাবালিকাকে মালাবদল করে বিয়ে করে। এরপর নাবালিকাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেয়। সেই সঙ্গে নাবালিকার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্যও চাপ দেয়। বাধ্য হয়ে নাবালিকা ওয়ার্ধা থানায় (Wardha police station) যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

নিম্ন আদালত পকসো আইনে যুবকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ঘোষণা করে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যুবক বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানে বিচারপতি গোবিন্দ সনপের (Justice Govind Sanap) সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গম সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পকসো (POCSO) আইনের অন্তর্গত। সেক্ষেত্রে নাবালিকার অনুমতি থাকা বা না থাকা আলাদা করে বিচার্য নয়। দুই ক্ষেত্রেই তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। সেই সঙ্গে যে বিয়ের দাবি করে অভিযুক্ত যুবক নিম্ন আদালতের রায়ের বিরোধিতা করেছে তা নাবালিকা বিবাহের অপরাধ। যদিও বিবাহের সপক্ষে ছবি ছাড়া আর কোনও প্রমাণ মজুত না থাকা ধর্ষণকেই সমর্থন জানাচ্ছে।