দিঘায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নির্মীয়মাণ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে, অসম্পূর্ণ মন্দির উদ্বোধন হবে না। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, সরেজমিনে কাজ খতিয়ে দেখতে খুব শীঘ্রই দিঘা যাবেন। এরপরই ওই মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ স্থির করা হবে।

শুক্রবার রাজারহাটে বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় নির্মীয়মাণ মন্দিরের উচ্চতা পুরীর মন্দিরের সমানই। তবে জায়গা আরও বেশি। ওই মন্দিরে চৈতন্যদেবের নামে একটি তোরণ হচ্ছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে চৈতন্য দ্বার। মূর্তি মার্বেলের হলেও পুজোর জন্য নীমকাঠের আলাদা বিগ্রহ তৈরি করা হচ্ছে। দৈনন্দিন পুজো ও মন্দিরের অন্যান্য কাজকর্ম পরিচালনার জন্য একটি অছি পরিষদ তৈরি করা হবে। তার পুরোটাই হবে তিনি নিজে খতিয়ে দেখার পর দেখার পর। মমতা জানান, আমি যাব গিয়ে দেখব কতটা কাজ তৈরি হয়েছে। অসম্পূর্ণ কাজ উদ্বোধন করব না। তাতে আরও বেশি সময় লাগলে লাগবে।

অসম্পূর্ণ রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা হয়। বিরোধিতা করেন শঙ্করাচার্যরা। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখে না করেও মমতা বুঝিয়ে দেন, তিনি সে পথে হাঁটবেন না। তিনি জানান, চাইল এখন কালীঘাটের স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করে দেওয়া যায়। কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ না হলে তিনি কখনই সেটা করবেন না। দিঘার মন্দিরের ক্ষেত্রেও সেই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের আদলে এই রাজ্যেও একটি মন্দির (Jagannath Temple) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার পুরীর প্রতি ভ্রমণ পিপাসু রাজ্যবাসীর অন্যতম আকর্ষণ হল সমুদ্রের সঙ্গে জগন্নাথদেবের দর্শন। তবে অনেকেরই নানা কারণে পুরী যাওয়া আর হয়ে ওঠে না। তাই পুরীতে না গিয়েও যাতে জগন্নাথদেবের দর্শন করতে পারেন, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বুকেই একখন্ড পুরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই দিঘার সমুদ্র সৈকতে গড়ে তোলা হয়েছে জগন্নাথধাম। যা বাংলার পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক যোগ করতে চলেছে। হিডকো এই মন্দির তৈরি করছে। নির্মাণের খরচ প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা।
