চট্টগ্রাম পুলিশের ‘জঙ্গি’ দাবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মোদির হস্তক্ষেপের আবেদন ইসকনের

রাধারমণ দাসের বক্তব্য,চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক বৈঠকে যা বলেছেন তা আশ্চর্যজনক

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের দাবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র রাধারমণ দাস। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম পুলিশের ইসকনের বিরুদ্ধে দাবির বিপক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন রাধারমণ দাস।ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার রইসউদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তির গ্রেফতারের দাবিতে ইসকনের লোকজন ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের প্রচার চলছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ইসকনের লোকজনই জড়িত।

রাধারমণ দাসের বক্তব্য,চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক বৈঠকে যা বলেছেন তা আশ্চর্যজনক। তিনি বলেছেন হিন্দুরা ওখানকার এক মুসলিম দোকানদারের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। তারা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়। পুলিশ কমিশনারের দাবি ওই জনতা ইসকনের সদস্য। তিনি আরও দাবি করেছেন ইসকনের লোকজন মুসলিমদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। তার অভিযোগ, ওই সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত ইসকনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত à§« নভেম্বর বাংলাদেশের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলি ফেসবুকের ইসকন নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠনের’ তকমা দেন। তার এই পোস্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয় চট্টগ্রামের হিন্দুরা। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, সেনা পৌঁছায় চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায়। সেই এলাকাটি চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে সেনার বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে।পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। ছিনিয়ে নেওয়ায় বাধা দেওয়ায় উশৃঙ্খল জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল ও অ্যাসিড নিক্ষেপ করে।পুলিশের ৯ জন সদস্য আহত হন।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.
11.