মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম এবং নার্সেস ইউনিটির যৌথ উদ্যোগে গণকনভেনশনে অভয়ার বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবনে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হল।শুক্রবার মৌলালী যুব কেন্দ্রে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৮ নভেম্বর এই স্মারকলিপি দেবেন তারা।অভয়ার দ্রুত বিচারের দাবিতে এই স্মারকলিপি দেবেন তারা। এরই পাশাপাশি, ১৭ নভেম্বর শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে রাত ৯টার সময় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।তাদের বক্তব্য, আন্দোলনের ঝাঁঝ কমে গিয়েছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে তা মোটেই ঠিক নয়। যতক্ষণ না অভয়ার বিচার মিলবে ততক্ষণ তাদের আন্দোলনও চলবে।বরং তারা সিবিআইয়ের ওপর দ্রুত বিচারের জন্য চাপ দিতে ফের জমায়েতের ডাক দিয়েছেন।
ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, আমরা প্রথম তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সরব হই। আমাদের সঙ্গে মানুষ ছিল। কিন্তু পরে দেখতে পাই তিলোত্তমাকে ব্যবহার করে অনেক ডাক্তার নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে। ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, সম্পাদিকা নার্সেস ইউনিটি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাইছি তা এখনও দেখতে পাইনি। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছে। আমাদের পেশাতেও থ্রেট কালচার আছে। কেন তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না।
বিজ্ঞানী ডক্টর সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভয়ার বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে মনে করি যে আমার অসীম সৌভাগ্য এই সময়টাতে আমি জীবিত আছি। আমি নিজের চোখে এই গণজাগরণ দেখেছি। তার মধ্যে থাকার, অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। এই সুযোগটাই আমার জীবনে বড় প্রাপ্তি। এত বড় আন্দোলন আমরা দেখিনি।আপনারা ডাক্তাররা এই সুযোগটা করে দিয়েছেন।যখন পরিবর্তন ঘটে, তখন যে লোকটা সমস্ত চাপের মুখে পড়েছিল সে দুটো কথা বলে সমস্যা হবে তখন সে দুটো কথা বলবে। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের ওপর অনেকটা আস্থা ছিল, আপনারা নিজেরাই বলছেন। আমাদের সিবিআইয়ের ওপর আন্দোলনের মাধ্যমে আরেকটা বড় পদক্ষেপ করতে হবে।
২৩ বছর আগে আরজি করের এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার ‘রহস্যমৃত্যু’তে নাম জড়িয়েছিল আন্দোলনকারীদের সমর্থন করা বেশ কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তারদের। তারা তখন লালপার্টির ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কেষ্টবিষ্টু! বারাকপুরের বাসিন্দা চতুর্থ বর্ষের মেডিক্যাল পড়ুয়া ছিলেন সৌমিত্র বিশ্বাস। ২০০১ সালের ২৫ অগাস্ট আরজি করের ললিত মেমোরিয়াল হস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তার মৃতদেহ।অথচ আজও তার কোনও বিচার মেলেনি।কেন তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ? এ প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, কোনও প্রমাণ হয়নি যে তারাই দোষী ছিলেন। তাই তারা আমাদের সঙ্গে থাকলে অসুবিধা কোথায়।সাধারণ মানুষকে বেছে নিতে হবে যে, যে চিকিৎসকেরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাদের পাশে থাকবেন কিনা।না কি যারা থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত, তাদের সঙ্গে থাকবেন।
ডক্টর প্রজ্ঞা অনির্বাণ বলেন, আন্দোলন থামেনি। তা চালিয়ে যেতে হবে। দ্রুত বিচারের জন্য সিবিআইকে চাপ দিতে হবে।সে জন্য ফের পথে নেমে আন্দোলন করতে হবে।