Saturday, May 24, 2025

কাউন্সিলর সুশান্তকে ‘খুনের চেষ্টা’য় ধৃত মূলচক্রী, ‘ষড়যন্ত্রী’দের গ্রেফতারের দাবি তৃণমূলের

Date:

Share post:

কলকাতা পুরসভার (Kolkata Corporation) কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় মূল চক্রী মহম্মদ ইকবার ওরফে আফরোজকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। শহর ছেড়ে পালানোর সময়ই কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় আফরোজ। সেই সঙ্গে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, খুন করা নয়, ভয় দেখানোর জন্যই শুক্রবার রাতে কাউন্সিলর (councilor) সুশান্তর উপর হামলার নির্দেশ ছিল ধৃত যুবকের উপর।

১০৮ নম্বর কাউন্সিলরের উপর যে হামলা চলে তাতে গ্রেফতারির সংখ্যা শনিবার সকালের মধ্যেই বেড়ে হয় দুই। দ্বিতীয় গ্রেফতার এক ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আফরোজের খোঁজ পায় কলকাতা পুলিশ। জানা যায়, রাতে বাইপাসের ধারে গা-ঢাকা দিয়েছিল আফরোজ। সেখান থেকেই হাওড়া হয়ে বর্ধমানের দিকে পালানোর চেষ্টা করেছিল সে।

ইতিমধ্যে হাওড়া ও বর্ধমান পুলিশকে তথ্য দিয়ে অ্যালার্ট করে কলকাতা পুলিশ। এরপরই বাইক সহ আফরোজ ওরফে ইকবাল ওরফে গুঞ্জারকে বর্ধমানের গলসি (Galsi) থেকে গ্রেফতার করে তারা। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধার ও বাইরে থেকে অপরাধী ও অস্ত্র ঢোকা বন্ধ করার দাবি পুলিশের কাছে রাখে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) দাবি করেন, “অ্যাক্ট নাও” (Act now)। সেই সঙ্গে কীভাবে রাজ্যে অস্ত্র ঢুকছে ও অস্ত্র ঢোকা আটকাতে পুলিশকে আরও ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানান মন্ত্রী।

এপর্যন্ত সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা হল তিন। ইতিমধ্যেই আগের দুই ধৃতকে জেরা করে বিহার যোগের প্রমাণ মিলেছে। তবে গুলি চালানো যুবক যুবরাজ আদৌ নাবালক নয়, উঠে আসে পুলিশের তদন্তে। তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য, যুবরাজকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ভয় দেখাতে, খুন করতে নয়। সেই সঙ্গে যে যুবকের স্কুটিতে চেপে এসেছিল যুবরাজ, সেই যুবক ছিল আফরোজেরই ঘনিষ্ঠ। যুবরাজের সঙ্গে বিহার (Bihar) থেকে আসা দুই যুবককে অবশ্য শুক্রবার কাজে লাগানো হয়নি।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই ঘটনার পর সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতারা। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করে এই রাজ্যে দুষ্কৃতী ও অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পুলিশকে সেই ষড়যন্ত্র আটকাতে আরও সক্রিয় হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় হয়েছে রাজ্যে কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে। কিন্তু আরও সতর্কতা দরকার। পরিস্থিতি থামানো দরকার। আর এই থামানোর কাজ নিশ্চিতভাবে পুলিশের।

spot_img

Related articles

জঙ্গি হামলায় ২০ হাজার ভারতীয়ের মৃত্যু! রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে কড়া জবাব নয়াদিল্লির 

জঙ্গি হামলায় (Terrorist attack) এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে জানাল ভারত। ২৬/১১ মুম্বই থেকে পহেলগাম...

সহকর্মীর প্রাণ বাঁচাতে খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ, মৃত্যু সেনা অফিসারের

দেশ রক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ছ'মাস আগে সেনাবাহিনীতে (Indian Army) যোগদান করেছিলেন লেফটেন্যান্ট শশাঙ্ক তেওয়ারি (Shashank Tewari)। যুদ্ধের ময়দানে...

জনবহুল রেলস্টেশনে আমজনতাকে কোপালো ‘জেহাদি’! জার্মানির হামবুর্গের ঘটনায় চাঞ্চল্য

জার্মানির (Germany) ব্যস্ততম শহর হামবুর্গের রেল স্টেশনে ভর সন্ধ্যায় দুষ্কৃতী হামলা (attack in hamburg, Germany ) ছুরি দিয়ে...

অগ্নিকাণ্ড রুখতে রাজ্য ও জেলা স্তরে বিশেষ কমিটি গঠন

বড়বাজারের হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে (Barabazar fire) ১৫ জনের মৃত্যু ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বড়...