আন্দোলন ভাঙিয়ে চাকরির খোঁজ! রাতদখলে রিমঝিমের ডাক কী অভয়ার জন্য আদৌ ছিল, প্রশ্ন

রিমঝিমই নিজের লিঙ্কডইন (Linkedin) প্রোফাইলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন রাতদখলের (Reclaim the Night) ডাক দেওয়া মূল প্রচারক

শহরের বুকে রাত দখলের ডাক দিয়ে রীতিমত বিল্পবীর তকমা পাওয়া ‘নেত্রীর’ আসল চেহারা বেরিয়ে এলো আন্দোলনের তিনমাস পরে। আর জি করের নির্যাতিতার বিচার যে পাক্কা নিজের ফায়দা তোলার জন্য ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গেল চাকরি খোঁজার প্রোফাইলে রিমঝিম সিনহার (Rimjhim Sinha) আন্দোলনের প্রচারক পরিচয় দেওয়ার পরই। আর তথ্য সামনে আসতে মুখোশধারী বিচারপ্রার্থীকে তুলোধোনা নেটিজেনদের।

আর জি করের ঘটনার পরে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির (Presidency University) প্রাক্তনী রিমঝিম সিনহা। সেই ডাকে রাজ্যের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছিলেন আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর বিচার চেয়ে। অথচ সেই রিমঝিমই নিজের লিঙ্কডইন (Linkedin) প্রোফাইলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন রাতদখলের (Reclaim the Night) ডাক দেওয়া মূল প্রচারক হিসাবে। এমনকি সেটাই তাঁর মুখ্য পরিচয় হিসাবে তিনি তুলে ধরেছেন, যেভাবে নিজের প্রফেশনাল বৈশিষ্ট্য চাকরির বাজারে নিজের দর বাড়াতে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা দিয়ে থাকেন। বিপণনের জন্য যেভাবে প্রোফাইল ভরানো হয়, সেভাবে রাতদখলকে ব্যবহার করেছেন রিমঝিম সিনহা (Rimjhim Sinha)।

দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালানো ও বারবার প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে পথে নেমে আসা নাগরিক সমাজের পিছনে যে বিরোধী বিশেষত বাম ও নকশালদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। তবে তাঁরা যে আর জি কর আন্দোলনকে আত্মপ্রচারের জায়গায় নিয়ে যাবেন তা হয়তো সাধারণ মানুষ, যাঁরা বিচারের দাবি আজও জানাচ্ছেন, তাঁরা আশা করেননি। ফলে রিমঝিমের প্রোফাইলের এই সত্য প্রকাশ্যে আসার পরই সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ “নির্লজ্জ বেহায়া” বলে দাবি করেছেন, আবার কেউ “ফুটেজখোর” বলে কটাক্ষ করতেও বাকি রাখেননি। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন “একজন চিকিৎসক তাঁর পেশার জায়গা অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে নৃশংসভাবে ধর্ষিত এবং খুন হয়েছেন। সেই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ কি সিভির ওজন বাড়াতে ব্যবহার হতে পারে?”