২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু তারপরও শিক্ষা নেয়নি। বরং ভোটে হেরে ধর্মীয় মেরুকরণের (Religious polarization) সুর আরও চড়িয়েছে তারা। দেশে ধর্মীয় হিংসার বাড়বাড়ন্ত আশ্চর্যজনকভাবে বেড়েছে মোদি সরকারের (Narendra Modi) আমলে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনে। সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করেই লেখা হয়েছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ধর্মীয় হিংসা বর্তমানে চরমে উঠেছে ভারতে। সংখ্যালঘু (Minority) তথা মুসলিমদের (Muslim) উপর হিংসার ঘটনা সবথেকে বেশি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস গত সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া : দ্য রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইস্যুজ’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে ভারতে (India) কীভাবে সামাজিক ও ধর্মীয় বিভাজন বাড়ছে, তা তুলে ধরা হয়। এই রিপোর্টে স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক মহলে মোদির সরকারের অস্বস্তি বাড়ে। এর আগেও একাধিক মার্কিন রিপোর্টে বিজেপি আমলে ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আবারও মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে ভারতের ধর্মীয় হিংসার চিত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেওয়ার পর ভারতে হিন্দুত্ববাদ ও ধর্মীয় বিদ্বেষ আরও প্রকট হয়েছে। বেড়েছে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে ধর্মীয় মেরুকরণের ছবি ফুটে উঠেছে। যে ভারত সহিষ্ণুতার পীঠস্থান ছিল, সেখানে এখন বিরাজ করছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা আর সামাজিক বৈষম্য। দেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলির হাত শক্ত হচ্ছে ক্রমশ। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। আর তাতে প্রভাবিত হচ্ছে ভারতের বিদেশনীতিও। স্বদেশেই পাশাপাশি বিদেশেও সমালোচিত হচ্ছে মোদি সরকার। ২০২৪-এর নির্বাচনে ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্র জয়ী হলেও স্বৈরাচারের ঝুঁকি নির্মূল হয়নি। মার্কিন রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছে সেই অস্তির চিত্র।

আরও পড়ুন- অশান্ত মণিপুরে টার্গেট মুখ্যমন্ত্রী! কার্ফুর মধ্যেই দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা জনতার
