ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমে হ্যাকার চক্রের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম বা সিট গঠন করে তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। আর এই তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক নাম। একাধিক জেলায় অভিযান চালিয়ে চক্রের পান্ডাদের গ্রেফতার করছেন তদন্তকারীরা। সোমবার শিলিগুড়ি থেকে সিটের হাতে গ্রেফতার হল ৩ অভিযুক্ত। এর মধ্যে একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।

এদিন শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকায় সেবক রোডের একটি শপিং মল থেকে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৩ জন। ধৃতদের নাম দিবাকর দাস, গোপাল রায় ও বিশাল ঢালি। দিবাকর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। বাকি দু’জনের বাড়ি শিলিগুড়িতে। ধৃতদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় দলটি। রবিবার কোচবিহারের দিনহাটাতেও প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক মনোজিৎ বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার করে মালদহ পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের পান্ডাদের জালে পুরতে চাইছে সিট।
ট্যাবের টাকা গায়েবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী ১৯১১ জন পড়ুয়া। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্কুলের সার্ভার হ্যাক করে কিংবা পোর্টালের পাসওয়ার্ড চুরি করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে হ্যাকাররা। এদিন ঝাড়গ্রামে ট্যাব-কাণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়ে চক্রের আরও এক পান্ডা। বিধাননগর কমিশনারেটের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স এরিয়া থেকে মাজারুল আলমকে বিধাননগর থেকে সোমবার গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তি চোপড়া এলাকার বাসিন্দা বলে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়। ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনও পর্যন্ত ১২টি স্কুলে ট্যাবের ৬২টি অ্যাকাউন্ট হ্যাকের অভিযোগ এসেছে। ধৃত মাজারুল আলমকে ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতে তোলা হয়। তাকে ৮ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন- খারিজ জামিনের আবেদন! আপাতত জেলেই থাকতে হবে সঞ্জয় চক্রবর্তীকে
