জাতীয় পরিবেশ আদালতের (NGT) নির্দেশ, মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে ভাঙা পড়বে ১৪৪টি নির্মাণ। ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট এই নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলা প্রশাসন। নোটিশে (Notice) চিন্তায় মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ীদের। নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের আবেদন করেন তাঁরা।

মন্দারমণি (Mandarmoni) পর্যটনকেন্দ্রে সমুদ্র সৈকত দখল করে তৈরি হয়েছে একের পর এক হোটেল। অভিযোগ, রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে একাধিক হোটেল হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত (NGT) ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। কারণ, উপকূলবিধি না মেনেই সিআরজেড এলাকার মধ্যে হোটেলগুলি নির্মাণ বলে অভিযোগ। কিন্তু জেলা প্রশাসন এই ২ বছর নির্দেশ কার্যকর করেনি।

জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। না হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে, পর্যটনের মরশুম শুরুর আগে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশে মাথায় হাত হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের। মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর মমরেজ আলি বলেন, “এতগুলি হোটেলএকসঙ্গে ভেঙে দেওয়া হলে কয়েক হাজার মানুষের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্যে। এবিষয়ে আমরা কলকাতা হাই কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছি।”
