খারিজ জামিনের আবেদন। আপাতত জেলেই থাকতে হবে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে মুম্বই থেকে গ্রেফতার হওয়া বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আচার্য সঞ্জয় চক্রবর্তীকে (Acharya Sanjay Chakraborty)। প্রসঙ্গত সংগীত চর্চার অছিলায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে নাবালিকা। কল্যাণী এইমসে চিকিৎসা হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, একাধিকবার মেয়েটির ওপর এমন প্রচেষ্টা করা হয়। এরপরেই পুজোর আগে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।

কলকাতা ছেড়ে মুম্বইতে কিঞ্জলের ভাড়া বাড়িতে গা ঢাকা দেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। কিঞ্জলের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন আচার্য সঞ্জয় চক্রবর্তী। কলকাতা এসে কোর্টে তিনি ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ পান। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি। জামিনের আবেদন করা হয় সঞ্জয় চক্রবর্তীর আইনজীবীর তরফে তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে ফের ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, আচার্য সঞ্জয় চক্রবর্তী সম্পর্কে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই। কিঞ্জল শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গীত সফরসঙ্গী। কিঞ্জলের বেশ কয়েকটি গানের কথা ও সুর দিয়েছেন তিনি। তবে কিঞ্জলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও করা যায় নি। সবমিলিয়ে গোটা বিষয়টি প্রথম থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে কলকাতা পুলিশের অদম্য সহযোগিতায় অবশেষে তদন্তকারীদের জালে ধরা পড়েন সংগীতশিল্পী। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ”পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই সঞ্জয় চক্রবর্তী নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মুম্বই থেকে গ্রেফতার। লুকিয়ে ছিলেন গায়ক কিঞ্জলের ফ্ল্যাটে।এই কিঞ্জল আবার শ্রেয়া ঘোষালের টিমের সদস্য তার সাথে বিদেশ সফর পর্যন্ত করে। এবার এই বিষয়ে শ্রেয়া ঘোষাল নিজের বক্তব্য, প্রতিবাদ একটু কষ্ট করে জানাক।” সেখানে তিনি আরও লেখেন, ”খারাপ ঘটনা মুম্বইতে ঘটলে অমনি চুপ। কলকাতা হোক বা মুম্বই খারাপ ঘটনা ঘটলে আমরা তুলে ধরলেই অমনি বলা হয় জাস্টিফিকেশন দিচ্ছি। অরিজিৎ, শ্রেয়া এদের মুম্বই কর্মক্ষেত্র। এবার আমরাও চাই এরা গান বাধুক। নাহলে বুঝে নিতে হবে গণতন্ত্র শুধু পশ্চিমবঙ্গেই আছে।”

আরও পড়ুন- দুর্ঘটনায় সন্তানহারা চার পরিবারের পাশে অভিষেক, আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি
