পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ভ্যানে হামলায় তিন মহিলা-সহ মৃত ৩৮ এবং আহত ২৯  

পাকিস্তানের কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীও এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান। বহু মৃত্যু। গুলি করে খুন করা হয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের।রক্তাক্ত দেহগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় চারপাশে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনা খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের।সেখানকার নিম্ন কুররাম এলাকায় যাত্রীবাহী ভ্যানে হামলা চালানো হয়।এই প্রদেশের মুখ্যসচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট আলিজাই বলেছেন, আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং বেস কয়েকজনকে পেশোয়ারে রেফার করা হচ্ছে। তিন মহিলা-সহ ৩৮ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অনেকেই আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার নাদিম আসলাম চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই হামলায় হতাহতদের মধ্যে এক শিশু ও এক মহিলা আছে। এই হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। পাকিস্তানের কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীও এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আসলে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের ভৌগলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলে বিভিন্ন উপজাতির মানুষের বাস। অতীতে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া। এবার এখানে বড়সড় হামলার ঘটনা হল। এই হামলার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী গাড়ি দু’টি কনভয় যাচ্ছিল। একটি কনভয় যাত্রীদের নিয়ে পেশোয়ার থেকে পরাচিনারের দিকে যাচ্ছিল। অন্য কনভয়ে যাত্রীদের নিয়ে পরাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ বন্দুকবাজরা কনভয় ঘিরে ফেলে গুলি চালাতে শুরু করে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশি প্রহরায় প্রতিটি কনভয়ে ৪০টির মতো গাড়ি ছিল।

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অন্তত ১০ জন বন্দুকবাজ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারা রাস্তার দু’পাশ থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। এই হামলার পর যাত্রীবাহী গাড়িগুলিতে থাকা মহিলা ও শিশুরা স্থানীয় বাড়িগুলিতে আশ্রয় নেন। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.