Sunday, August 24, 2025

বঙ্গে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে গেরুয়া। বিধানসভায় ৭৭ থেকে কমে এখন ছয়ের ঘরে বিজেপি (BJP) বিধায়কের সংখ্যা। ২০২১-এর জেতা আসনও উপনির্বচানের ধরে রাখতে পারছে না তারা। সঙ্গত কারণেই হতাশা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতো বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাদের গলায়। সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীর যদিও ২০২৬-এর স্বপ্ন দেখছেন, তবে বাস্তব হল ক্রমশ কমেছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বিধায়ক সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে হয়েছিল ৭৭। এই নজির বড় একটা নেই। শাসকদলের তুলনায় এই সংখ্যা যথেষ্ট কম হলেও, অন্য বিরোধীদল না থাকাও বেজায় উড়ছিল পদ্মশিবির। কিন্তু ২১-এর পর থেকেই ধস বিজেপি শিবিরে। ক্রমশ কমছে বিধায়ক সংখ্যা। এখন ঠিক কতজন বিধায়ক রয়েছে গেরুয়া শিবিরের সংখ্যা কত?
এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা বলতে পারছেন না দলেই একাধিক বিধায়ক! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, এখন মনে হয় সংখ্যাটা ৬৬ হবে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে কলকাতা পুরসভা, উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন এবং শনিবারে ফল প্রকাশিত ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির।
নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ থেকেও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্র লড়াই করে জিতে যান। কিন্তু সাংসদ পদে ছাড়তে রাজি হননি। পরে সেখানে উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূলে (TMC) উদয়ন গুহ।
বিজেপির টিকিটে পরপর দু’বার বিধায়ক হওয়া মনোজ টিগ্গা একুশের নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। কিন্তু ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদ হন। এদিন সেই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো।
রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বিজেপির মুকুটমণি অধিকারী। গেরুয়া ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফের বিধায়ক হন।
বাগদা বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পরে তৃণমূলে ফিরে আসেন। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। তবে ওই বিধায়সভা কেন্দ্রে জেতে তৃণমূল।
কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফের তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন।
বিজেপির জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ হন। ওই আসনটিও জেতেন তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী।
ধূপগুড়িতে বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন। ২০২৩-এর উপনির্বাচনে সেখানে জয়ী হন তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়।
তারপর এদিন মাদারিহাটে বিজেপির পরাজয়।

শাসকদলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ ও জনমুখী প্রকল্পের জন্যেই মানুষের রায় আরও বেশি করে তৃণমূলের পক্ষে আসছে। ফলে বিধানসভায় এবার ক্রমশ কমছে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় টিকে থাকতে এই ট্রেন্ড দেখে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে নতুন স্ট্র্যাটিজি সাজানো উচিৎ পদ্মশিবিরের।








Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version