সংসদীয় গণতন্ত্রে ২০২৪ নির্বাচনে অনেকেই প্রথম পথ চলা শুরু করেছিলেন। বিজেপি বা বিরোধী উভয় জোটেই অনেকে নতুন পথিক, অনেকে আবার পথ বদলে অন্য পতাকা হাতে লড়াইয়ের ময়দানে এসেছেন। এমনকি রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishore) দল জন সুরজ পার্টিও। তবে পথ বদলে পথ চলার ক্ষেত্রে সাফল্যের থেকে হোঁচট বেশি ২০২৪ মহারাষ্ট্র (Maharashtra), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) নির্বাচন থেকে বিভিন্ন উপনির্বাচনে।

বিহারের উপনির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচনী লড়াইতে নেমেছে প্রশান্ত কিশোরের নতুন দল জন সূরজ পার্টি (Jan Suraaj Party)। তবে বিহারের (Bihar) চার কেন্দ্রের মধ্যে একটিতেও ঠাঁই পায়নি তাঁর দল। এমনকি কোথাও দ্বিতীয় স্থানেও আসেনি তাঁরা। তারারি কেন্দ্রে তৃতীয়, রামগড় কেন্দ্রে চতুর্থ, ইমামগঞ্জে তৃতীয় ও বেলাগঞ্জে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের দল।
মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বে মহাযুতী (Mahayuti) জোট ফের একবার সরকার গঠনের পথে। বিজেপি একাই প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলেছে। তবে সেখানেও পায়ে মাড়াতে হয়েছে কিছু কাঁটা। কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকির (Baba Siddique) খুনের পরে নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে নতুন পথে চলা শুরু করেছিলেন তাঁরা ছেলে জিশান সিদ্দিকি (Zeeshan Siddique)। অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে (NCP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর দলবদল যে মহারাষ্ট্রের মানুষ ভালো চোখে নেয়নি তা প্রমাণিত বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে তাঁর পরাজয়ে। শিবসেনা উদ্ধব শিবিরের প্রার্থী বরুণ সরদেশাইয়ের কাছে তিনি ১১ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন।

বিজেপি নিজেও প্রার্থীর চমক দিতে গিয়ে আসন খুইয়েছে মহারাষ্ট্রে। ওরলি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল রাজ্যসভার সাংসদ মিলিন্দ দেওরাকে (Milind Deora)। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরে (Aditya Thackeray)। আদিত্যর কাছে মিলিন্দ পরাজিত হন প্রায় আট হাজার ভোটে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে মাঠে নামানোর বিজেপির নীতি এক্ষেত্রেও কাজ করেনি।

ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) নির্বাচনে দল বদলে অবশ্য ভালো ফল পেয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সরাইকেল্লা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন চম্পাই। সেখানে জেএমএম প্রার্থী গণেশ মাহালিকে প্রায় ২০ হাজার ভোটে পরাজিত করেন তিনি। যদিও ঝাড়খণ্ডে বিজেপি অনেক পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে।
