দক্ষিণের মতো উত্তরেও ধুলিসাৎ বিজেপি (BJP)। সবেধন নীলমণি মাদারিহাটও রক্ষা হল না। বাংলার ছয় কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (by-election)শেষে বিধানসভায় আরও শক্তি কমল বিজেপির। তৃণমূল (TMC) ৬-এ ৬। ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল বাংলায় বিরোধীদের কোনও স্থান নেই। বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

এবারের উপনির্বাচন হল আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের আবহে। বিরোধীরা এই আরজি কর-কাণ্ডকে পাথেয় করে এবারের নির্বাচনে (Election) দাঁত ফোটাতে চেয়েছিল। বিজেপি এবং সিপিএম (CPM) উভয়েই মনে করেছিল বাংলার মানুষ আরজি করের প্রতিবাদে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেবে ভোটবাক্সে। কিন্তু বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে, তাঁরা আরজি করের বিচার চান, কিন্তু তাঁরা সরকারের উন্নয়নের পক্ষে। আর সরকার পক্ষও তো বিচার চাইছে। বিরোধীদের ভোটবাক্সে জবাব দিয়ে বাংলার ছয় কেন্দ্রের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে রতদখল, দিনদখল বা দ্রোহের কার্নিভালের সঙ্গে তাঁরা নেই।

রাজ্যের ছয় কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলে এখন পর্যন্ত ছয় আসনেই এগিয়ে তৃণমূল। বিজেপির হাতে থাকা একমাত্র মাদারিহাটও এবার হাতছাড়া হচ্ছে তাদের। তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টপ্পো সেখানে শেষ খবর পাওয়া হওয়া পর্যন্ত ২৩ হাজারেও বেশি ভোটে জয়ী এগিয়ে রয়েছে। উত্তরের আর একটি আসন সিতাইয়ে তৃণমূল বিপুল ব্যবধানে জয় পেতে চলেছে। এক লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সিতাইয়ের প্রার্থী সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া।

দক্ষিণে তো সবুজ ঝড় চলছেই। উত্তর ২৪ পরগনার দুটি আসনেই বিপুল ব্যবধানে জিততে চলেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই নৈহাটিতে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। হাড়োয়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলাম ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। একই ধারা বজায় রয়েছে মেদিনীপুর ও তালডাংরা কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থী অগ্রগমন বজায় রেখেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হাড়োয়া কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসছে আইএসএফ। তালডাংরায় তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু এগিয়ে রয়েছেন ১৬ হাজারেও বেশি ভোটে। আর মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থীর সুজয় হাজরার অগ্রগমন ২১ হাজারেরও বেশি ভোটে। আরজি কর আন্দোলন থেকে অক্সিজেন নিয়ে নবোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়লেও বিরোধীরা কার্যত মুছে গিয়েছে এবারের উপনির্বাচনে। তৃণমূলের অ্যাসিড টেস্টে ফের প্রমাণ করে দিয়েছে, বাংলা মানুষের কাছে তাঁরাই ভরসার স্থল। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ২০২৪-এর উপনির্বাচনে বিরোধীরা ফিকেই। আস্থা মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়নেই।
