ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Assembly by election results) ফলাফলে রাজ্যজুড়ে সবুজ সুনামি। ভোট গণনার শুরু থেকেই সব আসনেই এগিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), বেলা বাড়তেই দেখা গেল ক্রমশ ব্যবধান বাড়াচ্ছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা। এদিন সবার আগে নৈহাটি বিধানসভা (Naihati Assembly) কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে ৪৯ হাজার ১৯৩ ভোটে জয়ী তৃণমূলের সনৎ দে (Sanat Dey)। এই জয় বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেছেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik)। তিনি বলছেন, যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা, তার জবাব দিয়েছেন মা মাটি মানুষ। নৈহাটি বিধানসভার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি নজর ছিল সিতাই (Sitai) কেন্দ্রের দিকে। তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় (Sangeeta Roy) ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। উচ্ছ্বসিত কর্মী সমর্থকেরা। এই প্রথমবার মাদারিহাট আসনও জিতে নিল তৃণমূল।

উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই সিক্সের হাঁকানোর দাবি করেছিল রাজ্যের শাসক দল। ফলাফলের গণনা শুরু হতেই দেখা গেল সেই ট্রেন্ড অব্যাহত। গত ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ছয় বিধানসভা কেন্দ্র— সিতাই, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি এবং হাড়োয়ায় উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। শনিবার এই ছয় কেন্দ্রের ফলপ্রকাশ। ইতিমধ্যে ৩ আসনে ফল ঘোষণা হয়ে গেছে। বাকি তিন আসনেও সম্ভাব্য জয়ী জোড়াফুল প্রার্থীরা। দ্বাদশ রাউন্ডের গণনা শেষে হাড়োয়ায় তৃণমূল এগিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ভোটে। তৃণমূলের রবিউল পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ভোট। আইএসএফের পিয়ারুল পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৪০ ভোট। তালডাংরাতে ১৬ হাজার ১০১ ও মেদিনীপুরে ২৭ হাজার ৫০০ বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা। জয় ঘোষণা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
