সংবিধান থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ মোছার বিজেপির চক্রান্ত! খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

১৯৯৪ সালের এসআর বোম্মাই মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, এই দু’টি শব্দ সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়

বিভাজনের ভিত্তিতে ক্ষমতা লাভের পথে চলা বিজেপি বরাবর দেশের মূল চিন্তাভাবনাগুলির পরিপন্থী। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত নেতারা এবার দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ (Socialist) ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) কথা দুটি মুছে ফেলার পথ নিয়েছিলেন। যাবতীয় চেষ্টায় জল ঢেলে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রাক্তন বিজেপির মন্ত্রী সুব্রহ্মনিয়ন স্বামী ও আর দুই বিজেপি নেতার করা মামলা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (CJI Sanjeeb Khanna) বেঞ্চ।

মামলার রায় ২২ নভেম্বরই ঘোষণা করার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি (CJI) ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের। কিছু আইনজীবীর বিরোধিতায় হয়নি। তবে সোমবার যে রায় জানিয়েছে শীর্ষ আদালত, তাতে আদালতের প্রশ্ন এতদিন পরে কেন এই আবেদন। সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ কথাগুলি আমাদের সংবিধানের (Constitution of India) অংশ হয়ে গিয়েছে। সংবিধান সংশোধনীর (constitution amendment) বিষয়ে সংসদকে ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধানই। বারবার সংবিধান সংশোধন হলেও তাতে এই বৈশিষ্ট্যগুলির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৯৯৪ সালের এসআর বোম্মাই মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, এই দু’টি শব্দ সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়।

মামলাকারী সুব্রহ্মনিয়ন স্বামী, বিজেপি নেতা বলরাম সিং ও বিজেপি নেতা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় দাবি করেন ১৯৭৬ সালে জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় ৪২তম সংশোধনের মাধ্যমে এই শব্দগুলি প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয়েছিল। পাল্টা প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সংবিধান সংশোধন আদালতের একাধিক সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে হয়। আইনসভার অন্তর্ভুক্তিও থাকে। সংসদকেও ভূমিকা নিতে হয়। কাজে এটা বলা যায় না, সেই সময় সংসদ যা করেছিল তা বাদ দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবে দেশ চালানোর বিজেপির নীতির উপর সপাটে দ্বার বন্ধ করল শীর্ষ আদালত।