বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) কেন জামিন দেওয়া হবে না, প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ মামলায় আড়াই বছর জেলবন্দি করে রাখা সত্ত্বেও বিচার প্রক্রিয়াই শুরু করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি ইডি-র (ED) তদন্তে বিচার পাওয়ার হার নিয়েও প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গড়িমিসিকে কটাক্ষ বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া ও বিচারপতি সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চের। সোমবার গ্রেফতারি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে (CBI)।

নিয়োগ মামলায় ইডি-র (ED) গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহাতগির যুক্তি এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হয়েছে। ২ বছর ৪ মাস জেলে থাকার পরেও কেন জামিন (bail) পাবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। যেখানে এই ধরনের মামলার সর্বোচ্চ শাস্তির পরিমাণ ৭ বছরের জেল সেখানে ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই বছর জেলে পার্থ। সেই সঙ্গে এই মামলায় যে মহিলার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিনের প্রসঙ্গও তোলেন রোহাতগি।

এরপরেই এই মামলার বিচার কবে শুরু হবে তা নিয়ে ইডি-কে (ED) প্রশ্ন করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। এরপরেই তাঁর প্রশ্ন এই মামলায় ইতিমধ্যেই দু বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এবার কীভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (central agency) এই মামলায় ভারসাম্য রক্ষা করবে, প্রশ্ন বিচারপতির।

এই প্রসঙ্গেই ইডি-র তদন্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিচারপতি ভুঁইয়া প্রশ্ন তোলেন, তাদের দোষী সাব্যস্ত করার হার কী? সেটা যদি ৬০-৭০ শতাংশ হতো, তাহলে এই মামলায় ইডির আবেদন নিয়ে বিচার করা যেত। কিন্তু ইডি-র দোষী সাব্যস্ত (conviction rate) করার হার অত্যন্ত কম। কার্যত জামিনের দিকে ঝুঁকে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ। ঠিক যেমন আগেও একাধিক বিরোধী দলের নেতা, মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীদের জামিনের মামলায় পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) একাধিক বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে ইডি-কে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, এদিনও তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইডি-কে। সেক্ষেত্রে এই মামলায় সোমবার সিবিআই (CBI) কবে, কিভাবে পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে, তার বিস্তারিত নথি জমা দিতে হবে আদালতে, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
