ইসকনের বিবৃতিই হাতিয়ার চিন্ময়ের শাস্তিতে! বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নেই, দাবি

অন্তর্বর্তী সরকার (interim government) ক্ষমতায় আসার পর কোন ধর্মীয় স্থানে হামলা চালানো হয়নি বলেই তাঁর দাবি। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (religious minority) উপর হিংসা নিয়ে ভারতে ভুল বার্তা

ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কোন পরিকল্পনাই বাংলাদেশ সরকারের নেই, স্পষ্ট করে দিলেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের (interim government) সচিবরা। সেইসঙ্গে তাঁদের দাবি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ভুল বার্তা ভারতে দেওয়া হচ্ছে। তবে ইসকনের (ISKCON) সঙ্গে যুক্ত না থাকা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmay krishna Das) গ্রেফতারিকে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার বলে দাবি বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের উপদেষ্টা সাইদা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan) দাবি করেন ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ ঘোষণার কোন ধরনের আলোচনাই অন্তর্বর্তী সরকার করেনি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। তবে ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে সংগঠনের অপরাধকে কখনোই মিলিয়ে দেখা হবে না আশ্বাস দেন তিনি। বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সরকারের পক্ষ থেকে ইসকনের বিরোধিতা না করার ঘটনায় ইসকনের ওপর ইউনুস প্রশাসনের মাপা পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ইসকনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস তাদের সদস্য নন। তবে এরই পাল্টা বিবৃতি ইসকনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করে জানানো হয় সংগঠনের সদস্য না হলেও চিন্ময় দাসের (Chinmay Krishna Das) গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাচ্ছে ইসকন (IKSCON)। সেইসঙ্গে তাঁর মুক্তির দাবিও করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ইসকনের প্রথম দাবিকে যে হাতিয়ার করছে তা বলাই বাহুল্য।

অন্যদিকে মহম্মদ ইউনুসের (Mohammed Yunus) প্রেস সচিব সফিকুল ইসলামের দাবি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার আগে, হাসিনা সরকারের পতনের সদ্য পরে হয়েছিল। তারপরেই ইউনুস সরকার সেই অরাজকতা নিয়ন্ত্রণে তৎপর। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকার (interim government) ক্ষমতায় আসার পর কোন ধর্মীয় স্থানে হামলা চালানো হয়নি বলেই তাঁর দাবি। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (religious minority) উপর হিংসা নিয়ে ভারতে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্যুতে ভারতের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরই সংখ্যালঘু ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে ইউনুস সরকার।