FICCI-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে আসন্ন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (BGBS)২০২৫-এর পূর্বসূচী অনুযায়ী দিল্লিতে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বাংলায় বিনিয়োগের সুযোগ কতটা তা বিস্তারিত তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya),প্রধান উপদেষ্টা ডঃ অমিত মিত্র (Dr Amit Mitra)। ৪২ দেশের প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার এবং সিনিয়র কূটনীতিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতায় ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ফ্ল্যাগশিপ সামিট বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট ২০২৫ আয়োজিত করতে চলেছে। তার আগে দিল্লির এই বৈঠকে BGBS নিয়ে আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বাংলায় বিনিয়োগের ব্যাপারে আশাবাদী বলেই জানা যাচ্ছে।

ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে ডঃ অমিত মিত্র জানান যে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ উৎপাদন এবং সরবরাহের উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। যার জেরে একদিকে যেমন রফতানি বাড়ছে তেমনই অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে চাকরির সুযোগ। গতিশীল নেতৃত্ব এবং আগামির কথা মাথায় রেখে চিন্তাশীল নীতির রূপায়ণ বাংলাকে চাকরি ভিত্তিক এক উন্নত অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বৈঠকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, মজবুত পরিকাঠামো এবং একটি দক্ষ কর্মীবাহিনীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় সাধন করছে। সেই কারণেই যত সময় যাচ্ছে বাংলা বিনিয়োগের সঠিক গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বন্দনা যাদব এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগ বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এই বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগ বিভাগের সেক্রেটারি পি. মোহনগান্ধী বাংলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিকগুলো উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের সামনে তুলে ধরেন।

ইউরোপ, আরব ও মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ওশিয়ানিয়া, উত্তর আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের কূটনীতিকরাও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা আশাবাদী যে আসন্ন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট বাংলার সঙ্গে বিশ্বের কৌশলগত ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করবে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের গতিশীল অর্থনীতি এবং বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ বিশ্বের বুকে বাংলার নাম ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে আরও উজ্জ্বল করবে।

