দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগে নম্বর কারচুপির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, ইন্টারনাল পরীক্ষার খাতা না-দেখেই নম্বর বসিয়েছেন শিক্ষক। বিভাগীয় প্রধান পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখানোর পর সেই অভিযোগ আরও জোরাল হয়ে ওঠে।পরীক্ষার নম্বর নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ নিয়ে পড়ুয়ারা দফায় দফায় বিক্ষোভ আন্দোলনও করছেন। এরই মাঝে ওই বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা তালা ঝুলিয়ে দেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের নামে অধ্যাপকদের হেনস্থা, তাদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা মানতে নারাজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কারণে, তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, তিন সদস্যের কমিটি পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানা গিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই এই তদন্ত কমিটি গঠন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র তরফে ছাত্রছাত্রীদের এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার উপাচার্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনকে সম্পূর্ণ রূপে বেসামাল করে তোলাই আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী দিনে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কেও তার সার্বিক প্রভাব পড়তে পারে।
এই বিষয়ে জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, ঘরে তালা দিয়ে দেওয়া বা অধ্যাপকদের হেনস্থা নিয়ে আগেও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি, এখনও সেই বক্তব্যেই আমরা অনড় থাকছি।

