মহেশতলা ব্যাঙ্ক লুট ইউনিক ঘটনা: রহস্য উন্মোচন করে দাবি পুলিশের

ব্যাঙ্কের গেট থেকে ভল্ট (vault), কোনও তালাই ভাঙা হয়নি। দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্কের অ্যালার্ম ব্যবস্থাকে (alarm system) পেশাগতভাবে বন্ধ করা হয়েছিল

মহেশতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় লুটের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) দাবি প্রথম বার কোনও ব্যাঙ্কের সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অকেজো করে এভাবে লুট করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের ভাইকেও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চুরি যাওয়া টাকাও গয়নার ৯৫ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

শুক্রবার রাতে মহেশতলার (Maheshtala) এসবিআই শাখায় ব্যাঙ্কের তালা খুলে লুটের ঘটনা ঘটে। রহস্যের জট খুলতে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। প্রথমেই তিনটি খটকা পুলিশের চোখে পড়ে। প্রথমত, ব্যাঙ্কের গেট থেকে ভল্ট (vault), কোনও তালাই ভাঙা হয়নি। দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্কের অ্যালার্ম ব্যবস্থাকে (alarm system) পেশাগতভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। তৃতীয়ত, সিসিটিভি-র প্রধান ব্যাকাপ হার্ডডিস্ক কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতেই পুলিশের নজরে আসে আরিফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। যিনি এই ব্যাঙ্কে গ্রুপ ডি (Group-D) পদে কর্মরত ছিলেন। পরে তার চাকরি চলে যায়। আরিফের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই পুলিশ ব্যাঙ্ক থেকে লুট হওয়া টাকার কিছুটা অংশ উদ্ধার করে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ভাইয়ের উস্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বাকি টাকা। পুলিশের দাবি গোটা লুট আরিফ ও তার স্ত্রী দুজনে মিলেই ঘটিয়েছিলেন।

রাজ্য পুলিশের প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি (DIG, Presidency Range) আকাশ মাঘারিয়া (Akash Magharia, IPS) রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, পুলিশ উদ্ধার হওয়া টাকা ও গয়নার ৯৫ শতাংশ উদ্ধার করে ফেলেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৬৭ লক্ষ টাকা। পুলিশের দাবি গোটা ঘটনা ঘটাতে আরিফ ডুপ্লিকেট চাবি (duplicate key) ব্যবহার করেছিল। আগেও সে এই চাবি দিয়ে দু একবার পরীক্ষা করে দেখেছিল। এই ঘটনায় আরিফের ভাইয়ের যোগ কতটা, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক লুটের ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন।