Thursday, August 21, 2025

বাংলার মধ্যে বিজেপির লম্ফঝম্প! পেট্রাপোলে সস্তার রাজনীতিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

Date:

বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে নতুন রাজনীতির চেষ্টা বাংলার বিজেপির নেতাদের। রাজ্যের শাসকদলকে কোনও ইস্যুতে যুঝে উঠতে না পেরে এবার আন্তর্জাতিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে বাংলায় জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টায় সোমবার বনগাঁর (Bangaon) পেট্রাপোল (Petrapole) সীমান্ত বন্ধ করার চেষ্টা বিজেপির নেতাদের। পাল্টা কেন্দ্রের সরকারের নীরবতার সুযোগে রাজ্যের নেতাদের লম্ফঝম্পকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্য যেখানে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র বাংলাদেশ ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নেবে তাকেই সমর্থন করা হবে। তারপরেও মৌন কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা।

বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে এপার বাংলার সন্ন্যাসীরা বিক্ষোভ সামিল হন। সোমবার পেট্রাপোলে (Petrapole) সন্ন্যাসীদের কর্মসূচিতে শামিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তবে বিজেপির পতাকা ছাড়া যোগ দিয়ে তিনি সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন। সীমান্তে পদযাত্রা করে, কালো বেলুন উড়িয়ে ‘প্রতিবাদ’ করেন সন্ন্যাসীরা শুভেন্দুর নেতৃত্বে। অভিবাসন দফতরের (Immigration Department) বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বাণিজ্য বন্ধের দাবি করেন। যদিও আদতে কোনও যান নিয়ন্ত্রণের পথে যাননি বিজেপি নেতারা। কার্যত স্পষ্ট আদৌ কেন্দ্রের বিজেপির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার কোনও লক্ষ্য নেই রাজ্যের বিজেপির নেতাদের। বিজেপির সেই উদ্দেশ্য সোমবারের ঝামেলা বাধানোর চেষ্টায় সামনে চলে আসতেই কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। তাঁর দাবি, “বাংলাদেশের বিষয়টিতে যা করতে হবে সংবেদনশীল হয়ে, যুক্তি দিয়ে করতে হবে। তার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে দিল্লির সরকারকে। তার জন্য এখানে গা-জোয়ারি করে বাণিজ্য (international trade) বন্ধ করে কী হবে? কেন্দ্রের সরকার কিছু করছেন না। সেই সুযোগে রাজ্য় বিজেপির নেতারা রাজনীতি করছেন।”

রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে বারেবারেই বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে। সোমবার বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। এমনকি বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি জানান। সেখানে রাজ্যের বিজেপি নেতারা কোনও রকম সদর্থক পদক্ষেপ বা নিজেদেরই দলের উচ্চতর নেতৃত্ব, দিল্লির নেতৃত্বের কাছে কোনও আবেদন না করে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন দাবি তৃণমূলের। কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র, বাংলা একটা রাজ্য। বাংলার এক্তিয়ার নেই বাংলাদেশের ভিতরে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার। ওনার দলের আছে। পেট্রাপোল সীমান্তে না গিয়ে দিল্লিতে যান। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ওখান থেকে যারা ফিরে আসতে চাইছেন তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। কেন্দ্র সরকারকে তো ব্যবস্থা নিতে হবে! তার বদলে আমরা অবাক হয়ে দেখছি সস্তার রাজনীতি করতে যাচ্ছেন।”

Related articles

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...
Exit mobile version