বিধায়কদের শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, হাজিরা নিয়েও দিলেন কড়া নির্দেশ

এখন থেকেই শুরু করে দিন ছাব্বিশের প্রস্তুতি। প্রশাসনিক কাজ বাকি থাকলে আমায় জানান, আমি ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু দলের বাইরে কিছু বলবেন না

জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।এবার পরিষদীয় বৈঠকেও বিধায়কদের (MLA) প্রতি কড়া বার্তা দিলেন। সোমবার বিধানসভায় (assembly) বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো স্পষ্ট জানালেন, এখনও আমি আছি, শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব। শৃঙ্খলা না মানলেই নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা।

এদিন বিধানসভায় (Bidhansabha) ছয় বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর পরিষদীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, সকলকে শৃঙ্খলা মানতেই হবে। না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে গড়ে দেওয়া তিনটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির মধ্যে একটি পরিষদীয় কমিটিও ছিল। এদিন বিধানসভার বৈঠকে সেই পরিষদীয় কমিটিকে শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বৈঠকে অধিবেশনে হাজিরা নিয়ে বিধায়ক কড়া নির্দেশ দিয়ে তিনি জানান, পর পর তিনদিন বিধানসভায় সময়মতো না এলে চতুর্থদিনে সেই বিধায়ককে শোকজ করা হবে। তারপর তিনি জানিয়ে দেন, এখনও আমি আছি। শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব। বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যে যার এলাকায় বাড়ি বাড়ি যান। জনসংযোগ বাড়ান মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনুন। তার সমাধান করুন। এখন থেকেই শুরু করে দিন ছাব্বিশের প্রস্তুতি। প্রশাসনিক কাজ বাকি থাকলে আমায় জানান, আমি ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু দলের বাইরে কিছু বলবেন না। শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে‌‌। সকলকে শৃঙ্খলা পরায়ণ হতে হবে।

এদিন দলনেত্রী নির্দেশ দেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমকে মাথায় রেখে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হবে বিধায়কদের নিয়ে। এই গ্রুপে সব কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। বিধায়কদের কিছু বলার থাকলে ওই গ্রুপেই বলবেন। আমার কিছু বলার থাকলেও ওখানেই বলে দেব। এদিন তিনি আরও স্পষ্ট করে দেন, দলে সবাই সমান। আজ কেউ মন্ত্রী, কাল বিধায়ক। ওসব নিয়ে ভাববেন না। মানুষের কাছে যান। মানুষের কাজ করুন কাজ করুন। মানুষের জন্য কাজই আপনাকে উপযুক্ত সম্মান দেবে।