লোকসভায় আসন বিন্যাস নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভায় আলাদা করে দেয়া হয়েছে তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন। তারই প্রতিবাদে কেন্দ্রের স্থির করে দেওয়া আসনে আজ বসবেন না তৃণমূল সংসদরা। তাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটের দলগুলিও এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। এই লড়াইয়ে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে তৃণমূলকে পাশে নিয়ে লড়াই করতে কংগ্রেস বৈঠক ডাকে এদিনই। ইতিমধ্যে আসনবন্টন ইস্যুতে প্রতিবাদ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছেন স্পিকার ওম বিড়লাকে। কেন্দ্রের এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে সংসদে এদিন সরব হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্ধারিত আসনে না বসেই প্রতিবাদ জানানো হবে।

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটা ব্লক দাবি করা হয়েছিল লোকসভায়। যেখানে সব তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা থাকবেন। কিন্তু তা না করে শাসক গোষ্ঠী ইচ্ছেমতো যত্রতত্র আসন বরাদ্দ করে তৃণমূল কংগ্রেস–সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্য। সেখানে দেখা যায়, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনের আসনে রাখা হয়নি দলের একজন সাংসদকেও। তাঁদের অন্য ব্লকে আসল নির্ধারণ করা হয়। এই আসন বন্টনের প্রতিবাদ করে তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া চিঠি দিয়ে লোকসভার স্পিকারকে জানান, এই আসন বন্টন করে আসলে বিরোধী জোটকে ভাঙতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেন, আমার কাছে ইমেল আসে যেখানে দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের বসার জায়গা অদ্ভূতভাবে সাজানো। প্রথমসারিতে আমার পাশে অখিলেশ যাদব। পিছনে তৃণমূলের কোনও সাংসদ নেই। পরের ব্লকে সরকার পক্ষের দুই মন্ত্রী বসেছেন। তাঁদের পিছনে রয়েছেন দু’জন তৃণমূল সাংসদ। আমি যে তালিকা দিয়েছিলাম সেখানে দ্বিতীয় সারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল।

সদ্য সাংসদ হয়ে সংসদে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁকে বিরোধী বেঞ্চের চতুর্থ সারিতে একদম ধারে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি আসন দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। তাঁর পাশে থাকবেন কেসি বেণুগোপাল। আর এক পাশে টিআর বালু। অন্য সারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশাপাশি বসতে দেওয়া হয়েছে। সৌগত রায় আর কাকলি ঘোষদস্তিদারের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। আর মহুয়া মৈত্রের আসন দেওয়া হয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির পাশে।

আরও পড়ুন- শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রস্তাব, বাংলাদেশে আটকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
