বিগত কয়েকমাস ধরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ফাটল ক্রমেই চওড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুতের বকেয়া বিল নিয়ে বিস্তর দড়ি টানাটানি হয়েছে। আর এবার ইউনুস সরকারের থেকে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকা চাইল ত্রিপুরা সরকার। জানা গিয়েছে, বকেয়া বিল বাবদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৩৫ কোটি টাকা চাইল ত্রিপুরা সরকার।

বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ভারতের ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়েছিল। ‘বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড’এর মাধ্যমে এই চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী, প্রতি ইউনিটের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ ধার্য করেছিল ত্রিপুরা সরকার। সেই অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় তারা। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ অনেক টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে।

রবিবার ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতল নাথ জানিয়েছেন, ত্রিপুরা সরকার বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৩৫ কোটি টাকা পায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের থেকে ৬ টাকা ৬৫ পয়সা করে নেয়।বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা বাংলাদেশ সরকার নিয়মিতভাবে মিটিয়ে দিচ্ছে।ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি)। কিন্তু বকেয়া ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল টিএসইসিএল। চলতি বছরের মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি বকেয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠিও লিখেছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রতনলাল।
