‘জয় বাংলা’ নিষিদ্ধ করে মুজিবকে মুছে ফেলতে চান ইউনুস! ঝড় বইছে সমালোচনার

এই দুই পদক্ষেপই প্রমাণ করছে, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য মুজিবর রহমানকে (Mujibur Rahman) মুছে ফেলা

বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে (Mujibur Rahman) মুছে ফেলতে তৎপর মহম্মদ ইউনুসের (Mohammed Younus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাই এবার তারা কোপ ফেলতে চাইছে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র উপর। ‘জয় বাংলা’ (Joy Bangla) স্লোগান নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দারস্থ হল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)।

২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশ শীর্ষ আদালতের (Supreme Court of Bangladesh) সেই রায়ে এবার স্থগিতাদেশ চাইল ইউনুস সরকার। একইসঙ্গে ১৫ আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণার বিরুদ্ধেও আবেদন জানানো হল বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে।

এই দুই পদক্ষেপই প্রমাণ করছে, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য মুজিবর রহমানকে (Mujibur Rahman) মুছে ফেলা। সেই কারণেই বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান এবং ‘জাতীয় শোক দিবস’ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা।

আগামী রবিবার অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের এই আবেদনের শুনানি হবে। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা।

শুধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই নয়, à§§à§« আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ও ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ও স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রবিবারই এই স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিন à§§à§« আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ২০০২ সালে বিএনপি জোট সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ এবং সরকারি ছুটির সিদ্ধান্তটি বাতিল করে দেয়। মন্ত্রিসভা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করা হয় হাইকোর্টে‌। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে দেন বিচারপতিরা। তারপর থেকে এখনও à§§à§« আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসাবে পালিত হয় এবং সরকারি ছুটির সিদ্ধান্তও বহাল ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্টের ওই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে ইউনুস সরকার। তা মঞ্জুরও হয়। এতে প্রমাণিত যে বাংলাদেশে এখন প্রধান টার্গেট ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবুর রহমানের সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলা। বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুজিব-মুক্ত করা।