রাজ্য-ব্যবসায়ী বৈঠকের পরও ধর্মঘটে অনড়, বিজেপি-সিপিএম মদতপুষ্টদের নিশানা বেচারামের

ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও কাটল না জট। অবস্থানে অনড় আলু ব্যবসায়ীরা (Potato traders)। সোমবার বৈঠকের পর ধর্মঘটে অনড় থাকা নিয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার তোপ, রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে এই ধর্মঘটের (Strike) পিছনে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে সিপিএম-বিজেপির (CPM-BJP) লোকজন রয়েছে। তারাই ধর্মঘট-সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার হুগলির তারকেশ্বরে ব্যবসায়ী ভবনে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই ধর্মঘটের ভবিষ্যত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে বাজারে আলুর ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ফের।

সোমবারের বৈঠক শেষে বেচারাম মান্না জানিয়েছিলেন, রাজ্যকে না জানিয়ে হিলি, চ্যাংড়বান্ধা, মালদহ থেকে প্রচুর আলু বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এসব করা হচ্ছে। রাজ্যে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। শুধু বিজেপি নয়, এর মধ্যে রয়েছে সিপিএমও। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যেই রয়েছে সিপিএমের লোকজন। বিজেপি আর সিপিএম মিলে ধর্মঘটে মদত দিচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সোমবার দুপুরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে আমরা রাজ্য সরকারের অনুরোধ মেনে ধর্মঘট প্রত্যাহার করব কি না, তা মঙ্গলবার বৈঠকের পর জানাব। অর্থাৎ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত জারি থাকছে। হুগলির তারকেশ্বরে ব্যবসায়ী ভবনে মঙ্গলবার সমিতির জরুরি বৈঠকের পর ধর্মঘটের ভবিষ্যত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই বিধানসভায় আলু রফতানি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্যের চাহিদা না মিটিয়ে আলু রফতানি করা হবে না ভিনরাজ্যে। আলু রফতানিতে রাশ টানতে দায়িত্ব দেন টাস্ক ফোর্সকে। উদবৃত্ত আলু রাজ্য মিড ডে মিলের জন্য কিনে নেবে বলেও জানান তিনি। আলু রফতানিতে এই কড়াকড়িতে ক্ষুব্ধ আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দেন। সেই সঙ্কট কাটল না মন্ত্রী-ব্যবসায়ী বৈঠকে। এখন দেখার কী সিদ্ধান্ত নেয় প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।