গড়ে ওঠেনি পরিকাঠামো, ‘শ্রী’ হারিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া উৎকর্ষ কেন্দ্র

অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের পর ফুটবলের সর্বিক উন্নয়নে জমি অধিগ্রহণ করে শুরু হয়েছিল উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়়ে তোলার কাজ। রাজ্য সরকার সবরকম সহায়তা করলেও এআইএফএফ উৎকর্ষ কেন্দ্রের উৎকর্ষ বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ পর্যন্ত ফুটবলের মানোন্নয়নে কোনও সদর্থক উদ্যোগ নিতে পারেনি তারা। ফুটবল গ্রাউন্ডে অনুশীলন ছাড়া উৎকর্ষ কেন্দ্রের অন্য কোনও পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। কার্যত অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে কক্ষগুলি। ইন্ডোরের কোনও পরিকাঠামোই নেই জাতীয় ক্রীড়া  উৎকর্ষ কেন্দ্রে।

নিউটাউনের উৎকর্ষ কেন্দ্র নিয়ে গালভরা ক্রীড়া উন্নয়নের বুলি আওড়েছিল এআইএফএফ। আধুনিকমানের অনুশীলন কেন্দ্র থেকে শুরু করে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের যাবতীয় সরঞ্জাম থাকবে। কিন্তু ১৫ একর জমি অধিগ্রহণই সার হয়েছে। ক্রীড়া উৎকর্ষ কেন্দ্রই তৈরি হয়নি। সেইসঙ্গে স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) হাতে তুলে দেওয়া বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন অবহেলায়-অনাদরে আগাছার স্তূপে পরিণত হয়েছে। তা নিয়ে এদিন বিধানসভা থেকে কেন্দ্রের দিকে সরাসরি আঙুল তোলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, নিউটাউনে জাতীয় ক্রীড়া  উৎকর্ষ কেন্দ্রেরও অনুরূপ অবস্থা। কিছুই করেনি ভারতের ফুটবল ফেডারেশন।

নিউটাউনে জাতীয় ক্রীড়া উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তুলতে এআইএফএফ ২০১৮ সালের জুনে জমি অধিগ্রহণ করেছিল। অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের পর ফুটবলের সর্বিক উন্নয়নে জমি অধিগ্রহণ করে শুরু হয়েছিল উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়়ে তোলার কাজ। কিন্তু ১৫ একর জমিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। ৬০০ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা মূল্যের জমির একাংশে শুধু অনুশীলনই হয়, কিন্তু উৎকর্ষ কেন্দ্র খাঁ খাঁ করছে। আধুনিকীকরণ তো দূরস্ত, পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ সে অর্থে এগোয়নি।

আরও পড়ুন- রোহিতদের অনুশীলনে ব্যাঘাত, সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল বিসিসিআই