জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের আওতায় থাকা উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ব্লকগুলিতে এবারে সাত শতাংশ হারে ঋণ মিলবে। আলু চাষে কৃষকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক এই চার জেলাতে আলুচাষিদের ১১৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামেও মানুষের পাশে থাকবার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে দুয়ারে দুয়ারে। এরমধ্যে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, লক্ষী ভান্ডার এছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রকল্পগুলি এখন মুখ্য আলোচ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে একইভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের চাষ করবার জন্য লোনের সুবিধা করে দিয়ে। ।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আওতায় রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা, আলিপুরদুয়ার জেলা, কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জ ও শিলিগুড়ির সমতল এলাকা। এই বিস্তীর্ণ এলাকার মোট ১৭টি ব্লক জুড়ে প্রায় ৫০ হাজার কৃষককে চাষবাসের সুবিধার্থে দাদন দেওয়া হচ্ছে ব্যাংকের তরফ থেকে। যার মাধ্যমে কৃষকরা রবিশস্য থেকে শুরু করে আলু, ধান, বিভিন্ন শাকসবজির পাশাপাশি ফুল-ফল এমনকি তেজপাতা বাগান ও চা পাতা বাগান করেও স্বনির্ভর হচ্ছেন। জলপাইগুড়ি জেলার একটা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই মরশুমেই শুরু হয় আলুর চাষ। আলু চাষ শুরুর ঠিক এই সময়ই কৃষকদের এই লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় উপকৃত হয়েছে৬ বহু কৃষক।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব সময় কৃষকদের পাশে থাকবার কথা বলেন। তার নির্দেশ অনুযায়ী কৃষকদের পাশে থাকতে দাদন দেবার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে ১১৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। ১৭ টি ব্লক জুড়ে পঞ্চাশ হাজার কৃষকের কাছে আমরা পৌঁছে গিয়েছি।



