জগন্নাথ মন্দিরে কাজ দেখতে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী, বুধে পরিদর্শন

দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ। কতটা কাজ বাকি, কবে করা যাবে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন- খতিয়ে দেখতে দিঘায় (Digha) হাজির স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, হাওড়া ডুমুরজেলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে রওনা দেন তিনি। দুপুরে দিঘায় নামে মুখ্যমন্ত্রী কপ্টার।বুধবার মন্দির-চত্বরে গিয়ে সরজমিনে খতিয়ে দেখবেন মন্দির নির্মাণের কাজ। কথা বলবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে। আলোচনা করবেন এই মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গেও।

২০২২-এর মে মাসে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় তারও আগে ২০১৯ সালে। প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে বিশালাকার জগন্নাথ মন্দির। একেবারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে দিঘার মন্দির। তবে আকার ও আয়তনে পুরীর মন্দির-সহ সংলগ্ন অঞ্চলকেও ছাপিয়ে যাবে। রাজস্থান (Rajasthan) থেকে এই মন্দির তৈরির পাথর আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে দিঘার (Digha) নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে ঢুকে দেখা গেল, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন শ্রমিকেরা। বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে কর্মযজ্ঞ। তত্ত্বাবধানে রয়েছেন হিডকোর আধিকারিকেরা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে নামার আগে থেকেই সেখানে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ময়দান-চত্বরে। মমতাও কাউকে নিরাশ করেননি।  তিনিও সকলকে অভিবাদন জানিয়েছেন, হাত মিলিয়েছেন, সেলফি-আবদার মিটিয়েছেন। একেবারে নিজস্ব ঢঙে মিশে গিয়েছেন আমজনতার সঙ্গে। তাঁর চেনা ট্রেডমার্কে হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি এবং তাঁর সরকার দিঘার মানুষের, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের, বাংলার মানুষের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ছিলেন জেলাশাসক-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। এছাড়াও ছিলেন যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

বাংলা তথা দেশের পর্যটন মানচিত্রে নতুন পালক যোগ করবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এবার দিঘায় গেলে বঙ্গবাসীর রথ দেখা ও কলা বেচা থুড়ি সমুদ্র দেখা দুইই একসঙ্গে হবে। পুরীর মতো এখানেও দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা জগন্নাথদর্শনে তৃপ্ত হবেন। এই মন্দিরের কারণে দিঘায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান বাড়বে। হোটেল এবং পরিবহণ ব্যবস্থা বিপুল লাভের মুখ দেখবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

দিঘার মতো জায়গায় এই বিশাল-আকার জগন্নাথ মন্দির তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, আগামী বছর রথযাত্রা এখান থেকেই চালু হবে। এই অনুযায়ী কাজ চলছে। তবে এবার সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই মন্দির নিয়ে নতুন কী নির্দেশ দেন সেদিকে নজর সবার।