দু’দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পরও বাংলাদেশে (Bangladesh) থামছে না সংখ্যালঘু নিপীড়ন। ইতিহাস ভুলে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে পদ্মাপারের মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। কলকাতার পাশাপাশি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দখলের হুঁশিয়ারির পর এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’কেও নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এই আগ্রাসনে উস্কানি দিচ্ছে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এদিকে সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পরও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে ভারত সরকার। কোনও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ তো দূরের কথা, সংসদে বাংলাদেশ সম্পর্কে কেন্দ্র নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করছে না। তৃণমূল সাংসদরা সংসদ ভবনে বিদেশমন্ত্রককে বাংলাদেশ ইস্যুতে বিবৃতি দেওয়ার দাবিতে সরব হলেও মুখে কুলুপ কেন্দ্রের।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে কলকাতা তথা বাংলা।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। মঙ্গলবার পথে নামলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য ও সমর্থকরাও। হুগলির কোন্নগর ও শ্রীরামপুরের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হাতে ব্যানার, জাতীয় পতাকা ও ক্লাবের পতাকা নিয়ে প্রতিবাদে জানান। পাশাপাশি, শ্রীরামপুরের মাহেশে মৌন প্রতিবাদও করেন তাঁরা। অন্যদিকে, কেষ্টপুর বাসস্ট্যান্ডেও প্ল্যাকার্ড ও লাল-হলুদ বেলুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান লাল-হলুদ সমর্থকরা। মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে। বুধবার ক্লাবের তরফে পাঁচজন প্রতিনিধি কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে ডেপুটেশন জমা দেবেন। প্রতিবাদে শামিল মোহনবাগানও। একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে।

আরও পড়ুন- স্বস্তি যাত্রীদের! বাড়ছে না শেষ মেট্রোর ভাড়া

এদিকে বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার, মন্দির ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ফের সরব হয়েছে কলকাতা ইসকন। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের উপলক্ষে কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, বাংলাদেশে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তা গভীর উদ্বেগের। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন বলে দাবি করে বাংলাদেশের এক মৌলবাদী নেতার প্রচ্ছন্ন হুমকির ভিডিও পোস্ট করে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্দেশ্যে রাধারমণ দাস লিখেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি আপনাদের নীরবতা এবং চোখ বন্ধ করে রাখা দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক। প্রকাশ্যে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার এই আহ্বান শুনুন এবং জেগে উঠুন। পাশাপাশি, এদিন শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে মানববন্ধনে শামিল হন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। বারাসতে হয় বিশাল প্রতিবাদ মিছিল।