Thursday, December 18, 2025

নন্দীগ্রামে দলীয় কর্মী খুন! পরিবারের পাশে তৃণমূল, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ দোলা-কুণাল-দেবাংশুদের

Date:

Share post:

বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সশস্ত্র হামলায় নিহত তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বুধবার নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে তৃণমূলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, হিম্মত থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহতের বাড়ি গিয়ে দেখান তিনি। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির মদতদাতা পুলিশের একাংশকেও হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল। পুলিশকে হুঁশিয়ারির পাশাপাশি নিহতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন দলীয় প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ দোলা সেন ও আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।

ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার।বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে চড়াও হয় নন্দীগ্রামের মণ্ডল বাড়িতে। একাধিক দুষ্কৃতী মিলে কুপিয়ে খুন করে নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে। তার সঙ্গেই গুরুতর জখম হন তার দাদা তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডল। দলনেত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি যান তৃণমূল কংগ্রেসের তিন প্রতিনিধি। এদিন তারা প্রথমে দেখা করেন নিহত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে। তার মা, স্ত্রী, দাদা, বৌদি, ছেলে ও ভাইপোর সঙ্গে দেখা করে সান্ত্বনা জানান। সর্বতোভাবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও পৌঁছে দেন তারা। পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি একজনকে চাকরিরও প্রতিশ্রুতি দেন।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে সামনেই এক জনসভায় নন্দীগ্রামে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন কুণাল, দোলা ও দেবাংশুরা। কুণাল বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পরিবারের পাশে আছেন। রাজ্য সরকার পাশে আছে। তৃণমূল পরিবারও পাশে আছে। দলনেত্রীর নির্দেশে এদিন আমরা নিহতের পরিবারকে এই বার্তাই দিতে এসেছি। আমাদের পরিবারের ভিতরে যখন এরকম একটা আঘাত এসেছে তখন দল তার দায়িত্ব নেওয়া থেকে পিছিয়ে যাবে না। তারপরই উপস্থিত কর্মী, সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়ে কুণাল বলেন, বারবার এখানে এই ঘটনা ঘটছে। সিপিএম জমানায় সিপিএম মেরেছে। তৃণমূল মারেনি। এখন বিজেপি মারছে। তখন যাঁরা সিপিএমের হার্মাদ ছিল তারাই এখন বিজেপি হয়ে জয় শ্রীরাম বলে একই ভাবে খুন করছে, ধর্ষণ করছে। এদের অনেকে গ্রেফতার হলেও অনেকেই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দেখতে পেলেও কোনও ভাবে হিংসার আশ্রয় নেবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না। কোনও অভিযুক্তকে যদি প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখেন, দলকে খবর দিন, পুলিশকে খবর দিন, সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানান। কিন্তু কোনও ভাবেই আইন নিজের হাতে নেবেন না। মনে রাখবেন কোনও ঘটনা ঘটে গেলে বিরোধীরা তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।

এরপরই নন্দীগ্রামের পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন কুণাল। তিনি বলেন, পুলিশ মানেই সবাই খারাপ নয়, নন্দীগ্রামে পুলিশের একাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের একাংশ সঠিক ভাবে কাজ করছে না, ন্যায়বিচার করছে না। আমরা শাসক দল, আমাদের দায়িত্ব বেশি। তাই আমাদের অনেক সংযত থাকতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের কর্মীরা মার খাবে। দেবাংশু, দোলারাও এ নিয়ে সরব হন।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.

spot_img

Related articles

মানহানির অভিযোগে প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ কুমার শানু

সংগীতজগতে দীর্ঘ চার দশকের সাফল্যের কাহিনি থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্কে ফের শিরোনামে কিংবদন্তি গায়ক কুমার শানু। প্রাক্তন স্ত্রী...

বড়দিন ও বর্ষবরণে আইনশৃঙ্খলা আঁটসাঁট, পুলিশের ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা রাজ্য জুড়ে 

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গেল বড়দিনের উৎসব। কলকাতার অ্যালেন পার্ক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের...

বাজেয়াপ্ত যুবভারতীর সিসিটিভি ফুটেজ, নজরে শতদ্রু ঘনিষ্ঠরা

যুবভারতীতে মেসি(Messi) ইভেন্ট চরম বিশৃঙ্খলায় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার গঠিত সিট(SIT)। যুবভারতীর (Yubha bharati) যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ...

সিইও দফতরের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুক্রবার থেকেই মোতায়েন

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী (central security force) মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে...