বেনজির কেন্দ্রীয় বাহিনীর (central force) নজরদারিতে কাঁথিতে শেষ হল ভোটগ্রহণ। গোটা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও, ভোট গ্রহণের শেষ ঘণ্টায় বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীদের। তবে রবিবার সকাল থেকেই উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে দেখা যায় ভোটারদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকলেও তাদেরই নজর গলে ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগও ওঠে।

সকাল থেকে নির্বিঘ্নে চলার পরেও শেষ ঘণ্টায় জিততে না পারার আশঙ্কায় মারমুখি বিজেপি, দাবি তৃণমূলের। হেঁড়িয়া, কোলাঘাট (Kolaghat), কাঁথিতে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ানোর অভিযোগ। সেই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করে সিপিএমও (CPIM)। রাজ্যে শূন্য থেকে নেগেটিভের দিকে ছুটতে থাকা বামেরাও হেঁড়িয়ায় তাঁদের ক্যাম্প অফিস ভাঙার অভিযোগ তোলার চেষ্টা করে। যদিও তৃণমূলের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল। কোলাঘাটে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভোটারদের স্লিপ (voters slip) ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রামনগরে প্রার্থী নিজেই প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। রামনগর কলেজে নির্বিঘ্নে ভোট চলার পরে শেষ ঘণ্টায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা বিজেপির (BJP)। প্রতিনিধিত্ব করার মতো প্রার্থী, লোকবল না থাকায় বিজেপি যে কার্যত সেখানে হারের মুখে তা বুঝতে পেরেই অশান্তি বাধানোর চেষ্টা বিজেপির, দাবি তৃণমূলের। পথ অবরোধ করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।

কাঁথিতে যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (central force) কাঠগড়ায় দাঁড় করায় নির্দল প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচয়পত্র (identity card) না দেখেই ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে বহু ভুয়ো ভোটারকে। প্রার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সক্রিয় হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রেফতার করা এক ভুয়ো ভোটারকে।

–

–

–

–

–

–

–
