বাংলাদেশে অশান্তি অব্যাহত।এই আবহে সপ্তাহ তিনেক জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণ। ভারতে ফিরে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন।তার স্পষ্ট কথা, বাংলাদেশে বর্তমানে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই।সোমবার বর্ষীয়ান আইনজীবী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দুটি সমান্তরাল প্রশাসন চলছে। চিন্ময়কৃষ্ণ কোনও অপরাধ করেননি। তবু ইউনুস প্রশাসনের চক্ষুশূল চিন্ময়কৃষ্ণ। বড় সমাবেশ করায় চিন্ময়কৃষ্ণকে ভয় পেয়েছে প্রশাসন। ভয় পেয়ে সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা করা হয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশও করেন তিনি।

চট্টগ্রাম আদালতে কীভাবে তাকে হেনস্থা করা হয়েছে, তার বিবরণও দিয়েছেন রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে প্রথমে তাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। আমি মুক্তিযোদ্ধা। লড়াই চালিয়ে যাব। মৃত্যু তো একদিন হবেই। আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের মামলার শুনানি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ওইদিন মামলার সওয়াল করতে চট্টগ্রামে যাবেন বলে জানান বর্ষীয়ান আইনজীবী।

তার অভিযোগ, এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশের আচরণ ছিল সন্ত্রাসবাদীদের মতো। রীতিমতো আঘাত পেতে হয় আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে। তাই চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসেছেন তিনি। ফিরে গিয়ে ফের সওয়াল করবেন সন্ন্যাসীর হয়ে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১০টি এমন মামলায় লড়েছি, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সেই মূল্যবোধ ধরে রাখতে চাই। গোটা দেশে সংহতির বার্তা দিতেই চিন্ময়কৃষ্ণর হয়ে আইনি লড়াই’।

উল্লেখ্য, বন্দরনগর চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া ধ্বজা টাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী ও ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে। এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে আরও ১৭ জন। ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি সকলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদোহ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগেই গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।


–

–

–

–

–

–

–

–