বলবৎ করার আগেই বিতর্কিত হিজাব আইন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ইরান (Iran)। সংস্কারের দোহাই দিয়ে প্রস্তাবিত আইনটি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান (Masoud Pezeshkian)। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ইরান বহুমুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। তার সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হামাস, হিজবুল্লা এবং হুথি আমেরিকা-ইজরায়েলি আক্রমণে কোণঠাসা। তার মধ্যেই ইরানের ‘বন্ধু’ বাসার আল- আসাদ সিরিয়ায় ক্ষমতা হারিয়েছেন। এই অবস্থায় এই বিতর্কিত হিজাব আইন চালুর ক্ষেত্রে কার্যত পিছিয়ে আসতে বাধ্য হল ইরান।

ইরানে হিজাব নিয়ে ফতোয়া জারি হতেই সেদেশে বিতর্কের ঝড় ওঠে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়, দেশের মহিলাদের কঠোর ভাবে হিজাব-বিধি মানতে হবে। মাথার চুল, কাঁধ এবং পা সম্পূর্ণ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। যদি এই নিয়ম কেউ না মানেন সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাবাস। এরপরই ইরানের একাধিক নারী সংগঠন তো বটেই, বিশ্বের অগ্রণী মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই নিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান জানান, প্রস্তাবিত আইনটি ‘অস্পষ্ট এবং এর সংস্কার প্রয়োজন’। তাই আপাতত হিজাব আইন কার্যকরী হচ্ছে না।


–

–


–

–

–

–

–

–

–
