নাসার অনেক পরে তৈরি হয়েছে ইসরো। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় যে ভারতও এখন পিছিয়ে নেই, তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ইসরোর সফল চন্দ্রাভিযান করেছে। এবার নাসার মতোই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন গড়তে উদ্যোগী হচ্ছে ইসরো। ১০ বছরের মধ্যে মহাকাশ স্টেশন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে ফেলল ভারত।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মহাকাশ অর্থনীতি প্রসঙ্গে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনার কথা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যেই মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন গড়ে উঠবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, নাসা অনেক আগে স্পেস স্টেশন তৈরি করেছে ঠিকই, কিন্তু ইসরোও আর পিছিয়ে থাকবে না। ইসরোও মহাকাশ স্টেশন গড়বে নিজস্ব। মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় ভারতের বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে। তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তাঁর কথায়, আগামী ১০ বছরে ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে দেশের মহাকাশ অর্থনীতি। আরও বড় অভিযানে শামিল হবে ভারত।

চন্দ্রাভিযানের পর সূর্য অভিযানে নেমেছে ইসরো। জাপানের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ফের চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে ভারত। তারপর ভারতের স্পেস সেন্টার থেকে ভিনদেশীয় রকেটও ছাড়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগে রাস্তা খুলে দিয়েছে কেন্দ্র। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব মহাকাশ অর্থনীতিতেও অংশ হতে চলেছে ভারত। ইসরো এখনও পর্যন্ত ৪৩২টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে। বিগত দশ বছরে প্রভূত উন্নতি করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা। মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি হবে আগামী দশ বছরে। কবে মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি কবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০৩৫ সালে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন থাকবে ভারতের। অর্থাৎ তাঁর কথায় স্পষ্ট, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতের মহাকাশ স্টেশন তৈরি হয়ে যাবে। ইসরো সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা এখন বিশ্বের প্রথমসারিতে। সব দেশই ভারতকে সমীহ করছে। এমনকী আমেরিকাও গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতকে। আগামী দিনে তাই মহাকাশ গবেষণায় ভারতের আরও এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সারা।

আরও পড়ুন- ভরা লোকসভায় পেশ ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল: একযোগে প্রতিবাদ বিরোধী সাংসদদের

–

—

–

—

–

—

–

—

–

—