চাকরি বাতিল মামলায় বৈধ-অবৈধদের আলাদা করা সম্ভব, জানালো SSC 

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুরু হয়েছে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনতে শুরু করে। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী (Rakesh Dwivedi)। আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুরুতেই CJI সঞ্জীব খান্না জানতে চান, বৈধ এবং অবৈধ চাকরি প্রাপকদের তালিকা আদৌ আলাদা করা যাবে কিনা। এসএসসি (SSC) জানিয়েছে যোগ্য অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব।

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য এব‌ং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করার নির্দেশ দেবে দেশের সুপ্রিম আদালত, সেই দিকেই নজর রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, নম্বর কারচুপি করে লিখিত পরীক্ষার মার্কস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা বাছাই করার ক্ষেত্রে তাদের সমর্থন রয়েছে। এরপরই সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের প্রশ্ন, তাহলে কলকাতা হাইকোর্ট কেন বলল যে তালিকা আলাদা করা সম্ভব নয়? কেনই বা পুরো প্যানেল বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হল আদালতকে? নিয়োগ মামলার তদন্তে সিবিআই-এর (CBI (তরফে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু উত্তরপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী। তিনি জানান যে, ওই সমস্ত OMR শিটের বৈদ্যুতিন তথ্যের ৬৫বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী যাচাই করার কোনও শংসাপত্রও নেই। যদিও প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে,৬৫বি করে বোঝা সম্ভব নয় সার্ভারে তথ্য কারচুপি হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং সিবিআই-এর জমা দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখছে শীর্ষ আদালতে ডিভিশন বেঞ্চ।