হাসিনাকে গ্রেফতারে বাংলাদেশ পুলিশকে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের

গত ১৭ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‌ যে কোনও মূহুর্তে গ্রেফতার হতে পারেন। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত হাসিনার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে হবে। আর সেই মর্মে ইন্টারপোলকে আবেদন জানাক বাংলাদেশ পুলিশ।

সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধ আদালতের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত গত অগাস্টে। বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিরোধিতায় শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। সেই আন্দোলন দমনে হাসিনা প্রশাসনের গণহত্যার নির্দেশ-সহ একাধিক মানবতা বিরোধী পদক্ষেপের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত। এই তালিকায় ছিলেন খোদ শেখ হাসিনা, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের-সহ ৪৬ জন। গত ১৭ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। রবিবার প্রধান আইনজীবী তথা জামাত-ই-ইসলামির নেতা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। তাই তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তিনি আবেদন জানান, আদালত যেন হাসিনাকে গ্রেফতারের জন্য ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ জারির নির্দেশ দেন।

সওয়াল জবাব শোনার পর, যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারপতিরা বাংলাদেশ পুলিশকে এনিয়ে তৎপরতার নির্দেশ দেন। যদিও আইনজীবীদের একাংশের মত, অনেক নামী ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধেই ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ রয়েছে। কিন্তু নোটিশ জারি হলেই যে গ্রেফতার করা যাবে, তেমনটা নয়। এক্ষেত্রে ভারত সরকার হাসিনাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে তুলে দেবে, তা নাও হতে পারে। আবার অন্য অংশের বক্তব্য, ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করলে চাপে পড়বে ভারতও।