বারবার বিজেপি নেতাদের বাংলায় অনুপ্রবেশ (infiltration) নিয়ে বাংলার শাসকদলের দিকে আঙুল তোলা যে আদতে বিজেপির ব্যর্থতাকে ঢাকা দেওয়ার জন্য তা আরেকবার স্পষ্ট হয়ে গেল অসম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারের যে প্রক্রিয়া অসম পুলিশ শুরু করেছিল, সেই তদন্তেই এবার মিলল এমন আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক যা দিয়ে যে কোনো জায়গায় বড়সড়ো নাশকতার চালানো যেত। এমনই উদ্দেশ্য ছিল আনসারুল্লাহ বাংলা জঙ্গিদের, আশঙ্কা অসম পুলিশের (Assam Police)। একদিকে সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MEA)। অন্যদিকে হিমন্ত সরকার (Himant Biswasharma) কীভাবে আশ্রয় দিচ্ছিল জঙ্গিদের এবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

লোকসভা নির্বাচনের আগেও বারবার বাংলা সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) বাংলায় বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের অশান্তির পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ যে তল্লাশি ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে তাতে এখনো পর্যন্ত সবথেকে বেশি জঙ্গি ধরা পড়েছে অসম থেকে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গিসংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলার যোগসূত্র হিসাবে যারা ভারতে কাজ করতো স্লিপার সেল (sleeper cell) তৈরিতে, তারাই লুকিয়ে ছিল অসমে। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে খুললো আরো পর্দা।

অসমের এসটিএফের (Assam STF) হাতে মঙ্গলবার ধরা পড়লো আব্দুল জহর শেখ নামে এক ব্যক্তি। কোকরাঝোড়ের এই বাসিন্দা স্লিপার সেল (sleeper cell) তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, দাবি অসম পুলিশের। সেই সঙ্গে উদ্ধার হল চারটি রাইফেল, ৩৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২৪ রাউন্ড কার্তুজের খোল। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম যা আইইডি তৈরিতে ব্যবহার করার আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দিয়ে কোথায় নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছিল জঙ্গিরা তা নিয়ে এবার তদন্ত শুরু করবে অসম পুলিশের এসটিএফ। সেই সঙ্গে এই নাশকতার কাজে আর কোথায় জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে তারও খোঁজ চলছে।

–
–

–

–

–

–

–

–
