জয়ে ফিরল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে পাঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে। শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল জোসে মোলিনার দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত কামব্যাক করে সবুজ-মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধে হয় তিন গোল। বাগানের হয়ে জোড়া গোল আলবার্তো রডরিগেজের। একটি গোল জেমি ম্যাকলারেনের। এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার এক নম্বরেই রইল মোলিনার দল।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে সবুজ-মেরুনের অস্বস্তির কারণ ছিল দলের চোট-আঘাত। গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোস, আশিক কুরুনিয়নকে ছাড়াই দল সাজান মোলিনা। তবে তার খেসারত পেতে হয় বাগানকে। ম্যাচের ১২ মিনিটের গোল খেয়ে বসে মোহনবাগান। ১২ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে পিছিয়ে দেন পাঞ্জাবের রিকি শাবোং। কিছুটা রক্ষণের ভুলেই গোল হজম করে সবুজ-মেরুন। এরপর আক্রমণের জন্য ঝাঁপায় সবুজ-মেরুন। তবে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকে মোলিনার দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। কর্নার থেকে আসা বলে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন আলবার্তো রডরিগেজ। সমতা ফেরায় সবুজ-মেরুন। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেমি ম্যাকলারেন। কিন্তু আদৌ সেটি পেনাল্টি ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ম্যাচের ৬৯ মিনিটের মাথায় বাগানের হয়ে তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আলবার্তো । সেটিও হেডে। ফ্রি কিক থেকে বল তুলেছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। সেই বলে হেড করেন আলবার্তো।
তবে এদিন রেফারিং নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় একটি ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড দেখেন পাঞ্জাবের প্রধান স্ট্রাইকার এজেকুয়েল ভিদাল। পরক্ষণেই তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। তিনি কেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড খেলেন তা বোঝা যায় না। কিন্তু দু’টি হলুদ কার্ড দেখায় তা লাল কার্ড হয়ে যায়। মাঠ ছাড়তে হয় ভিদালকে। এরপর বাগানের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- ওড়িশাকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফির সেমিতে বাংলা
–
–
–
–
–
–
–
–