রাজনীতিতে তাঁর পরিচয় একজনের কাছে একেক রকম। কিন্তু পরিবারের মানুষগুলোর কাছে মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) পরিচয় ছিল একজন ফ্যামিলি ম্যানের। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে যেমন স্নেহশীল ছিলেন স্বজনদের প্রতি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও সেভাবেই খোঁজ নিতেন কলকাতার প্রবাসী বোনের। মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে তাই চোখের জলে ভাসলেন টালিগঞ্জের নিবাসী তাঁর বোন গোবিন্দ কৌর (Gobind Kaur)।

পরিবারে সবথেকে বড় ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (former Prime Minister) মনমোহন সিং। পড়াশোনা, রাজনীতি বা দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরেও পরিবারের সবথেকে বড় হওয়ার কর্তব্য পালন করতে কখনই ভোলেননি মনমোহন সিং, জানালেন গোবিন্দ। কলকাতা এলেই বোন গোবিন্দের সঙ্গে দেখা করাটা যে তাঁর কর্তব্যের মধ্যে ছিল, সেটার পরিবর্তন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও হয়নি। এমনটা জানাচ্ছেন ভাগ্নে গুরদীপ সিং।
চাকরি জীবনে গোবিন্দের টালিগঞ্জের বাড়িতে যেমন তিনি গিয়েছেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রোটোকলের গেরোয় আটকে গিয়ে বোনের পুরো পরিবারকেই রাজভবনে (Kolkata Rajbhavan) দেখা করতে ডেকেও পাঠিয়েছেন। আবার প্রধানমন্ত্রিত্বে ইতি টানার পরে দেখা হয়েছে সেই টালিগঞ্জের বাড়িতেই। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে দাদার সঙ্গে শেষ বার দেখা হওয়ার স্মৃতি রোমন্থন বোনের। যদিও অসুস্থতার কারণে তখন তিনি হুইল চেয়ারে বসা ছিলেন।

তবে ফেব্রুয়ারির সেই দেখাই যে ‘পাপাজি’কে শেষ দেখা হবে ভাবতে পারেননি গোবিন্দ। অসুস্থ শরীরেও তাই শেষকৃত্যের (last rites) আগে একবার দেখতে চান দাদাকে। যদি ও তাঁর ছেলেরা জানাচ্ছেন এই শরীরে তাঁকে শুক্রবারের মধ্যে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যদিও গোবিন্দের দুই ছেলে, পুত্রবধূ পাড়ি দিচ্ছেন দিল্লির উদ্দেশে, ‘মামাজি’কে শেষবারের মতো দেখার জন্য।

–

–

–

–

–

–

–
