পঞ্চাশ বছর ধরে প্রকৃতি ধ্বংস করে চাষের ব্যবস্থায় পরিবর্তনের বার্তা প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর। উন্নত গবেষণা ও প্রযুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গকে সবুজ বিপ্লবের (Green Revolution) দ্বিতীয় ঘাঁটি করতে হবে, শনিবার নিউটাউন জৈব হাটে প্রকৃতি নির্ভর সুস্থায়ী চাষের দর্শন ও প্রয়োগ শীর্ষক আলোচনা সভায় সেই বার্তাই দেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী তথা কারিগরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু বসু (Purnendu Basu)।

এদিন তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ দর্শন হল প্রকৃতি নির্ভর সুস্থায়ী চাষ। কিন্তু মুনাফার লোভে প্রকৃতির ভারসাম্য গত পঞ্চাশ বছর ধরে ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ তা রুখে দেওয়া। সে জন্য আমাদের জৈব (organic) নির্ভর, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (natural ecosystem) নির্ভর খাদ্য উৎপাদনকে আরও বাড়াতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন-জীবিকাও বাড়িয়ে তুলতে হবে। এই অভ্যাস বা দর্শন কিন্তু একদিনে হবে না। আগে পুরনো বিষয়টির পরিবর্তন করতে হবে। তা করতে হবে ধাপে ধাপে। এই চিন্তাধারাকে ফলপ্রসূ করতে হবে। আমাদের চারপাশের মানুষজনকে বেশি বেশি করে এই ধারায় নিয়ে আসতে হবে। তবেই আসবে পরিবর্তন। সবুজ বিপ্লব ঘটবে বাংলায়।

তবে কীভাবে এই বিপ্লব সম্ভব? পূর্ণেন্দু স্মরণ করালেন ১৯৬০-এর দশককে। সেই সময় যেভাবে উচ্চ ফলনশীল বীজ, যান্ত্রিক কৃষি সরঞ্জাম, সেচ সুবিধা, কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করে কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটেছিল। উন্নয়নশীল বিশ্বে কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কৃষি গবেষণা (agriculture research) ও প্রযুক্তিকে (technology) কাজে লাগানো হয়েছিল। এবার প্রকৃতি নির্ভর সুস্থায়ী চাষের দর্শন ও প্রয়োগ ঘটাতেও বাংলাকে সবুজ বিপ্লবের (Green Revolution) ঘাঁটি বানাতে হবে।

–

–

–

–

–
