তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নামে টাকা তোলা-কাণ্ডের জেরে কলকাতার MLA হস্টেলের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিধায়কদের সুপারিশে অতিথিশালার ঘর বরাদ্দ হওয়ার ক্ষেত্রেও আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একই সঙ্গে হস্টেল সুপারের রিপোর্ট (Report) তলব করা হয়েছে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ। পুলিশের কাছেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিধানসভার (Assembly) তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে বিধায়কদের সুপারিশপত্র নিয়ে যাঁরা হস্টেলের অতিথিশালায় থাকবেন, তাঁদের অন্তত সাত দিন আগে আবেদন করতে হবে। অতিথিদের সঙ্গে থাকা সুপারিশপত্র এবং অন্যান্য নথি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তবেই ঘর বরাদ্দ করা হবে। কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ঘর ভাড়া নিচ্ছেন বলে ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলকাতার কিড স্ট্রিট এমএলএ (MLA) হস্টেলে বিধায়কদের সুপারিশক্রমে ৪১ ঘরটি ভাড়া দেওয়া হয়। অতিথিদের জন্য ন্যূনতম ঘর ভাড়া তিনশো টাকা সর্বাধিক দেড় হাজার টাকা। এইরকম একটি ঘর বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দের নামে বুক করেছিলেন তোলাবাজি কাণ্ডের অভিযুক্তরা। যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবি, তিনি কাউকে ঘর বুকিং করতে দেননি। এ প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) জানিয়েছেন, হস্টেল সুপারের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পুলিশের (Police) কাছেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ঢুকে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমএলএ হোস্টেলের সুপার সুশান্ত মণ্ডলকে তলব করেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। কীভাবে বিজেপি বিধায়কের নাম করে অভিযুক্ত ঘর ভাড়া নিলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই বিধায়ককেও আগামীতে জেরা করবে পুলিশ।

–

–

–

–

–

–

–
